"রাজনীতির অভিধান" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: বাংলা ভাষায় সংকলিত অভিধানের বিষয়-বৈচিত্র্য কম নয়। নিছক শব্দ নিয়ে শব্দাভিধান থেকে শুরু করে সেলুলয়েডের জগৎ নিয়ে চলচ্চিত্রাভিধান—কোনওটাই আজ আর দুর্লভ নয়। কিন্তু রাজনীতির অভিধান এই প্রথম। বাঙালির প্রাত্যহিক জীবন আজ নানা রাজনৈতিক বলয় দিয়ে ঘেরা। ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়, সচেতনে-অচেতনে আমরা রাজনীতিকে ছুঁয়ে যাচ্ছি। মােটকথা, পলিটিক্সের সংস্পর্শ এখন অনিবার্য হয়ে উঠেছে। এই মুহূর্তে, এই সময় রাজনীতির অভিধান তাই জরুরি। এক প্রয়ােজনীয় সহায়ক। এই অভিধানে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং সুনির্বাচিত চার শতাধিক। রাজনৈতিক শব্দ সংকলিত হয়েছে। যেসব শব্দের সঠিক সংজ্ঞা, তত্ত্ব, বিবর্তন, প্রয়ােগ ইত্যাদি জেনে নেওয়া দরকার। অন্তর্দলীয় গণতন্ত্র বলতে কী বােঝায় ? সংসদীয় গণতন্ত্রে রাজ্যসভার ভূমিকা কী ? বুজোয়া, হরিজন, ফ্যাসিবাদ, উদারনীতি, সমাজতন্ত্র, ঠাণ্ডা লড়াই প্রভৃতি শব্দের সঠিক অর্থ কোনটা ? খিলাফত, ভূদান, তেভাগা প্রভূতি আন্দোলন কোন সুত্রে কবে ঘটেছিল ? এই অভিধানে সাম্প্রতিক তথ্যাদি এবং দর্শন, ইতিহাস, অর্থনীতি প্রভৃতি বিষয়ের সঙ্গে রাজনীতির ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত কিছু প্রত্যয় ও সীমিত সংখ্যক রাষ্ট্রদার্শনিকের চিন্তাভাবনাও সন্নিবিষ্ট হয়েছে। রাজনীতি খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। তাই শব্দ-নির্বাচনে নিরপেক্ষতার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন সংকলক । সাধারণ পাঠক, ছাত্রছাত্রী এবং উৎসুক বিশেষজ্ঞের চাহিদা পূরণ করবে এই অদ্বিতীয় অভিধান।