ভূমিকা বাংলাদেশের মেধার বিকাশ ও জ্ঞানার্জনের সংস্কৃতিকে আরো বিকশিত ও গতিশীল করার লক্ষ্যে ক্ল্যাসিক্যাল গণিতের আই কিউ বইটি প্রকাশ করা হলো। যে কোনো প্রতিযোগিতামূলক বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষা জটিল একটি বিষয়। তাই এ বিষয়ে সাফল্য লাভের জন্য যথেষ্ট চর্চা প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে বইটি শিক্ষার্থীদের সহায়ক হতে পারে।
বুদ্ধি পরিমাপ করার জন্য বিভিন্ন মনোবিদ বিভিন্ন ধরনের বুদ্ধি অভিক্ষা রচনা করেছেন।এই বইয়ের টেস্টগুলোর মূল লক্ষ্য হচ্ছে পাঠককে আনন্দ দেয়া এবং একই সাথে অনুশীলনের মাধ্যমে বুদ্ধিমাত্রা বাড়াতে সাহায্য করা। বইটিতে রয়েছে ২০টি গাণিতিক আই কিউ, প্রতিটি আই কিউতে ৫০ টা প্রশ্ন। কোন প্রশ্নটি সোজা কোন প্রশ্নটি কঠিন তা নির্ভর করে পাঠকের Intelligence, শিক্ষাগত যোগ্যতা, সাধারণ জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার উপর। কোন প্রশ্ন বা সমস্যার উত্তর/সমাধান দেখার আগে নিজে চেষ্টা করে দেখা উচিতদ সমস্যাটি সমাধান করা যায় কিনা। প্রয়োজনে দীর্ঘ সময় নিয়ে চিন্তা ও চেষ্টা করে দেখা উচিত। নিজে সমাধান করার মধ্যে যথেষ্ট আনন্দ রয়েছে এবং এতে সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তির বিকাশ হবে।
বুদ্ধি হলো সহজাত মানসিক ক্ষমতা আর জ্ঞান হলো অর্জিত বিদ্যা। বুদ্ধি ও জ্ঞানের পারস্পরিক সম্পর্ক খুবই গভীর। মানসিক বয়সকে প্রকৃত বয়স দিয়ে ভাগ করে ঐ ভাগফলকে ১০০ দিয়ে গুন করলে যে সংখ্যা পাওয়া যায় তাকে বুদ্ধ্যাঙ্ক (Intelligence Quotient বা IQ) বলে। ধরা যাক, একটি ১০ বছরের ছেলে ১০ বছরের উপযোগী প্রশ্নের উত্তর দিতে সমর্থ হলো । এক্ষেত্রে ছেলেটির প্রকৃত বয়স ১০ ও মানসিক বয়স ১০। (মানসিক বয়স/প্রকৃত বয়স)*১০০ = (১০/১০)*১০০=১০০ । এ ফলাফল থেকে বুঝা যায় ছেলেটি সাধারণ বুদ্ধিসম্পন্ন।
বইয়ের আই কিউ গুলো নিজের আই কিউ যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা হিসাবে ব্যবহার করলে পরীক্ষার সব নিয়ম কানুন মানতে হবে। অর্থ্যাৎ পরীক্ষার আগে কোনো প্রশ্ন দেখা যাবে না, পরীক্ষার সময় কোনো বইপত্র বা ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তর দেয়া ইত্যাদি। অন্যথায় আই কিউ টেস্টের ফলাফল পরীক্ষার্থীর বাস্তব আই কিউর সাথে মিলবে না। উল্লেখ্য, কারো আই কিউ সম্পর্কে চুড়ান্ত মতামত করার জন্য এই বইয়ের গাণিতিক টেস্টগুলো ১০০% নির্ভরযোগ্য নয়। প্রতিটি টেস্টের জন্য সর্বোচ্চ সময় ৬০ মিনিট। প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য ১ পয়েন্ট।
জোবাইর ফারুক ১৯৬১ সালের ১১ নভেম্বর চট্টগ্রামের বােয়ালখালী উপজেলার আহল্লা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা হাবিবুর রহমান এবং মাতা গুলতাজ খাতুন । পি সি সেন সারােয়াতলী হাই স্কুল, আগ্রাবাদ সরকারী কলােনী হাই স্কুল, স্যার। আশুতােষ কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্টকহােম ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া । তিনি ১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এস.এস ডিগ্রি লাভ করেন। পরে সুইডেনের স্টকহােম ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার ও সিস্টেম সায়েন্সে লেখাপড়া শেষ করে এরিকসন। কোম্পানীতে প্রকৌশলী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেন। বর্তমানে তিনি সুইডেন রেলওয়ের একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।