ফ্ল্যাপে লিখা কথা গ্রামের এক দুষ্টু ছেলে রাজ্জাক। পড়াশোনায় মনোযোগ নেই। সারাদিন গ্রামময় ঘুরে বেড়ানো আর বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দেয়াই তার কাজ। পরীক্ষা এল সাত-আট বিষয়ে ফেল করে। ফলে কেউ তাকে দেখতে পারে না। মায়ের বকুনি, শিক্ষকের মার খাওয়া তার নিয়মিত ব্যাপার। তাতেও তার দু্ষ্টুমির কমনি নেই। তবে, দুষ্টুমি করলেও সে মানুষের কোন ক্ষতি করে না। বরং বিপদে ঝাপিয়ে পড়ে। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সবার আগে থাকে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিও তার প্রবল আগ্রহ।
কৈশোরে পা দিয়ে তার দুষ্টুমির মাত্রা আরও বেড়ে যায়। শরীর ও মনের মধ্যে পরিবর্তন আসে। তার চিরশত্রু সহপাঠিনী সামিনার প্রতি সে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। এজন্য তাকে অপমানিতও হতে হয়। এই অপমানের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে ধরা পড়ে যায়। ফলে তাকে চরম মাশুল দিতে হয়। ভালোবাসার পরিবর্তে রাজ্জাক ও সামিনার শত্রুতা চরম আকার ধারণ করে। এ দিয়ে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। ক্লাসের ফার্স্ট গার্ল সামিনাও রাজ্জাকের ওপর পাল্টা প্রতিশোধের নেশায় মেতে ওঠে। এরই মধ্যে অমাবশ্যার রাতে ঘুটঘুটে অন্ধকারে বাশঝাড়ের রাস্তার মার খায় স্কুলের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক দেবল স্যার। তাকে মারধর করার দোষেও অভিযুক্ত হয় রাজ্জাক। এই ঘৃনিত কাজের জন্য চারিদিকে ধিক্কার পড়ে যায় । আট বিষয়ে ফেল করা রাজ্জাককে ফার্স্ট গার্লের প্রতি অনুরক্ত হওয়ার চরম খেসারত দিতে হয়। বিচারে শাস্তি হওয়ার আগেই বাবার হাতে মার খেয়ে মৃত্যুর মুখে পতিত হয় রাজ্জাক। হাসপাতালে সে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে। তাহলে কি রাজ্জাকের জীবন প্রদীপ নিভে যাবে? সামিনাই বা ভাইকে নিয়ে গোপনে দেবল স্যারের সাথে দেখা করে কেন?
এদিকে ছাত্রের হাতে মার খাওয়ায় ক্ষোভ-অপমানে স্কুলের চাকরি ছেড়ে দেন দেবল স্যার। দেবল স্যারের চাকরি ছাড়ার ঘটনার ভীষণ উতলা হয়ে উঠে সামিনা। তাহলে এর পেছনে অন্য রহস্য আছে? হঠাৎ করেই সামিনা কেন শত্রুতা ভুলে রাজ্জাকের সঙ্গে হাত মেলায়?দেবল স্যারকে ফেরাতে সামিনা এত মরিয়া হয়ে উঠেন কেন? শিক্ষককে মারার অপবাদ কি শেষ পর্যন্ত রাজ্জাক মুছতে পেরেছিল? পায়ে ঠেলে দেয়া রাজ্জাকের প্রেমকে সামিনা কেনইবা বুকে তুলে নিল? প্রিয় পাঠক, চাঞ্চল্যকর এসব ঘটনার শেষ পরিণতি জানতে এক নিঃশ্বাস পড়ে ফেলুন উপন্যাসটি।