ফ্ল্যাপে লিখা কথা বাংলাদেশ ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯, ৩৯ বছরে পা দিয়েছে। বিগত ৩৮ বছরে দেশের বড় দু’টি দল ২৫ বছর ধরে দেশ শাসন করেছে। প্রায় ১০ বছর ধরে চলেছে স্বৈরশাসন। দুই বছর ধরে সামরিক বাহিনীর সহায়তায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশ পরিচালনা করেছে। বিগত দুই বছরে দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক সহিংসতা, সন্ত্রাস, দুর্নীতি কিছুটা কমলেও রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন, যেটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মূল এজেন্ডা ছিল, পাশাপাশি, সুশাসন ও স্বচ্ছ প্রশাসন গড়ার ক্ষেত্রে এবং চরম মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরার ব্যাপারে চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও সরকার এসব ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে ‘ওয়ান ইলেভেন’ জাতিকে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছিল। ‘ওয়ান ইলেভেন’ প্রেক্ষাপট পরবর্তী সুশাসনের ধারাবাহিকতা টিকিয়ে রাখার এবং রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল- শেষ অবধি সেটা ধরে রাখা যাবে কি? প্রশ্নবোধক চিহ্নটি থেকে যায়। দেশে অর্থনীতি ও রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন না ঘটলে বিশ্বে দুর্নীতিতে প্রায় ডবল হ্যাট্রিক, সন্ত্রাস, দুর্বৃত্তায়ন, নির্লজ্জ দলীয়করণ, অস্বচ্ছতা, কুশাসন, গণতান্ত্রিক নর্মস বহির্ভূত সংঘাত ঘটতেই থাকবে। এখনো আমরা আশা-নিরাশার মাঝপথে আটকে আছি। বর্তমান সরকার তার মেয়াদকালে দেশ ও জাতিকে আলোর পথের সন্ধান দিতে পারবে- সেই প্রত্যাশায় জাতি অধীর আগ্রহে প্রহর গুনছে। ব্যর্থতা ও সফলতার টানাপোড়েন ও নানা সংকট এবং উত্তরণ নিয়ে এ গ্রন্থ রচিত। গ্রন্থটি এই সময়ের বাংলাদেশের রাজনীতি ও ইতিহাসের মূল্যবান দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পাবে বলে ধারণা করা যায়।