ফ্ল্যাপে লিখা কথা দিনে দিনে পুষ্পিত ,শোভিত আজ যে বিজ্ঞান তা একদিনে অর্জিত হয়নি। কালে কালে কিছু চিরস্মরনীয় ব্যক্তির হাত তার ডালপালা বিকশিত হয়েছে। তাদের মাঝে যেমন আছেন আলবার্ট আইনস্টাইন, আইজাক নিউটনের মতো বিজ্ঞানী তেমনি আছেন মাদাম মেরি কুরি, আইরিন জুলিয়েট কুরি’র মতো জগদ্বিখ্যাত নারী। দিনের পর দিন তাদের মতো আরো অনেক নারী বিজ্ঞানের সেবায় এগিয়ে এসেছেন। তাদের কতজনের কথাই বা আমরা জানি! ‘বিশ্বসেরা নারী বিজ্ঞানী’তে সেই নারীর অমরগাথা বিধৃত হয়েছে। ইতিহাসের গহ্বর থেকে তাদের কিছু তথ্য ছুঁকে তুলে ধরা হয়েছে এতে। যারা সেই সব নারীর সম্পর্কে জানতে চান তাদের কাছে বইট হতে পারে একটি সহায়ক। পাঠকের কাছে তা এক ভিন্ন আবেদন তুলবে বলে বিশ্বাস।
ভূমিকা ‘এ বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি,চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী,অর্ধেক তার নর’ এ বিশ্বকে পাল্টে দিয়েছেন যেসব নারী নব নব আবিষ্কারের মাধ্যমে তাদের স্মরণীয় করে রাখতে হাত দিয়েছি এ বইটি লিখতে । জানি, এ আমার দু:সাহস। এমন অনেক বই আছে, কিন্তু শুধু মাত্র বিজ্ঞানী নারীর ওপর কোন একক বই আছে বলে আমার জানা নেই। সে জন্য নারী বিজ্ঞানীদের আজকের প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হাতে তুলে নিয়েছি কলম। এ বইতে যেসব নারী বিজ্ঞানী সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে-তারা কোন না কোনভাবে বিখ্যাত। কেউ পেয়েছেন নোবেল পুরষ্কার । কেউবা থেকেছেন পর্দার আড়ালে। সেখান থেকেই সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞানসেবার।তাদের অনেকের নামই হয়তো আমরা অনেকে জানি না। কিন্তু এই যে বিকশিত বিজ্ঞানের আজকের যুগ তাতে পুরুষ বিজ্ঞানীদের মতো নারী বিজ্ঞানীদের অবদানও কম নয়। ইতিহাসের গহ্বরে হারানোর প্রায় সেই সব নারীকে পরিচয় করিয়ে দিতে এ প্রয়াসে অনেকে ভুল ভ্রান্ত্রি হতে পারে। এর বেশির ভাগ তথ্য ও ছবি ইন্টারনেট ঘেঁটে উদ্ধার করা। ফলে কোথাও তত্ত্বের হেরফের হ েথাকতে পারে। তা সত্ত্বেও পাঠকরা অনিচ্ছাকৃত সে ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলে বিশ্বাস । তাছাড়া , বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে উপস্থাপনা পর্যায়ক্রমে করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। প্রথম নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সম্পর্কে নারী মাদাম মেরি কুরী দিয়ে শুরু হলেও শেষ হয়েছে চারজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নারীকে নিয়ে । এর মাঝেই ঢুকে পড়েছেন বেশ কয়েকজন নারী বিজ্ঞানী । তাদের মধ্যে আছেন ভারতের কল্পনা চাওলা। তিনি বড় কোন আবিষ্কার না করলেও মহাকাশ অভিযানে যাওয়া প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রথম নারী। অভিযান থেকে ফেরার পথে পৃথিবী থেকে মাত্র কয়েক মিনিটের পথ উপরে থাকতে তাকে বহনকারী নভোযান বিস্ফোরিত হয়। তাতে কল্পনা চাওলাসহ তার অন্য ছয় সহযাত্রী নিহত হন। সে জন্যে কল্পনা চাওলাকে স্মরণে রাখতে ঠাঁই দেয়া হয়েছে এ বইয়ে ।যদি তা পাঠকের ভাল লাগে তাতেই আমার সার্থকতা। --মোহাম্মদ আবুল হোসেন ২৬ শে জানুয়ারি’ ০৮ ঢাকা