কাহিনী সংক্ষেপ : নায়ানুকী মাত্র এগারো বছরের ছোট্ট রেড ইন্ডিয়ান শোশোনী গোত্রের এক মেয়ে। একদিন তাকে বন্দী হতে হয় প্রতিপক্ষ আরেক রেড ইন্ডিয়ান গোত্রের হাতে। সে এবং তার সবচেয়ে ভালো বন্ধু সাকাজোঁয়া বাধ্য হলো তাদের সাথে প্রায় হাজার মাইল পথ হাঁটতে। মনটানা থেকে এতটা পথ পাড়ি দিয়ে তারা উত্তর ড্যাকোটার প্রত্যন্ত এলাকায় আরেক রেড ইন্ডিয়ান গ্রামে পৌঁছাল। সেখানে নায়ানুকীকে দাস হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। নায়ানুকীর মনে সারাক্ষণ একটাই চিন্তা কিভাবে পালিয়ে গিয়ে নিজ শোশোনী গোত্রের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে মিলিত হবে। তাই সে গোপনে প্রস্তুতি নিতে থাকে। মিসৌরী নদীকে অনুসরণ করে পালিয়ে যাবে সে। বন্দী হিসেবে আসার দীর্ঘ পদযাত্রাকালে পূর্বের পথের গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যপট, চিহ্ন এমনকি লুকানোর অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা চিহ্নিত করে রেখে এসেছে সে। অবশেষে পালানোর সুযোগ হলো। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলে দীর্ঘ বুনোপথে নায়ানুকীর একাকী ভ্রমণ। ছোট্ট মেয়েটির সেই যাত্রাকালের বিপদ, সাহসিকতা আর বেঁচে থাকার দক্ষতার চমকপ্রদ ও উত্তেজনাকর বর্ণনায় ভরপুর এই বইটি। নায়ানুকী কেনেথ থমাসমার আমেরিকান-ইন্ডিয়ান এ্যাডভেঞ্চার সিরিজের বই।
মন্তব্য প্রতিপক্ষ আরেক ইন্ডিয়ান গোত্রের হাতে বন্দী হয় শোশোনী গোত্রের এগারো বছরের মেয়ে নায়ানুকী। বন্দীদশা থেকে পালিয়ে নিজ গোত্রের স্বজনদের কাছে ফিরে যেতে ব্যাকুল হয়ে ওঠে মন। একমাসেরও বেশি সময় ধরে ১০০০ মাইলেরও বেশি দুর্গম, বিপজ্জনক বুনোপথ একাকী পাড়ি দিয়ে শোশোনী গোত্রের নিজ স্বজনদের কাছে ফিরে আসার দুঃসাহসিক কাহিনী এই বই।
লেখক পরিচিতি ক্যানেথ থমাসমার জন্ম ১৯৩০ সালে আমেরিকার মিশিগান অঙ্গরাজ্যে। সাউথ হাই স্কুল থেকে ১৯৪৮ সালে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এরপর শিক্ষকতায় যোগ দেন। নায়ানুকি : পালিয়ে যাওয়া শোশোনী মেয়েটি থমাসমার প্রথম বই। প্রকাশিত হয় ১৯৮৩ সালে এবং পুরস্কৃত হয় ১৯৮৬ সালে। শিক্ষকতা থেকে অবসর নেয়ার পর আরও ৯টি বই লিখেন তিনি যার মধ্যে আমেরিকান-ইন্ডিয়ান এ্যাডভেঞ্চার কাহিনী সিরিজের বই ৯টি। সাদা চামড়ার মানুষদের আগমনের পূর্বে শোশোনী গোত্রের জীবনযাপন ও আচার পদ্ধতির প্রকৃত চিত্র অদ্ভূত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি এসব বইয়ে। ক্যানেথ থমাসমা স্বপরিবারে ওয়াইওমীং-এর জ্যাকসন হোল-এ বসবাস করেন।
অনুবাদক পরিচিতি ফারজানা ইসলাম-এর জন্ম কুমিল্লায়। পড়াশোনা করেছেন হবিগঞ্জের শাহ্জিবাজার পিডিবি হাইস্কুল ও সিলেট এম.সি. কলেজে। বিবাহিত, দুই সন্তানের জননী। এটি তাঁর প্রথম প্রকাশিত অনুবাদ গ্রন্থ।
ফারজানা ইসলাম জন্ম ১৯৮৭ সালের ১৫ এপ্রিল । ছােটবেলা থেকেই কবির লেখালেখি শুরু। তিনি বঙ্গবন্ধুর 'একনিষ্ঠ ভক্ত জাতির জনকের জন্য তার অসীম ভালােবাসা। সেই ভালােবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বইটিতে। বইটি পাঠকের কাছে প্রিয় হয়ে উঠুক, এই প্রত্যাশা রইলাে।