ফ্ল্যাপে লিখা কথা এইসব গদ্যের জন্ম পৃথিবীর পশ্চিম গোলার্ধে। যেখানে পুবের বাতাস উড়ে যেতে যেতে পারি দেয় দু দুটি মহাদেশ- আটলান্টিক ও প্যাসিফিক। সেখানে বসে ফেরদৌস নাহার কবিতার পাশাপাশি লিখছেন গদ্য। সেসব থেকে নির্বাচিত আটটি লেখা নিয়ে পশ্চিমে হেলান দেয়া গদ্য । গদ্যগুলো তিনটি পর্বে: চিত্রকলায়, চলচ্চিত্রে, কবিতায়।
চিত্রকলার প্রতি প্রবল টান ফেরদৌস নাহারের মর্মগত। তাই যখন গ্রেট ব্রিটেনের লন্ডন শহরে স্পেনের শিল্পী সালভাদর দালির সৃষ্টির মাঝে এসে দাঁড়ান তখন পুব দেশের কবি ডুবে যান পশ্চিমের ধ্রুপদী জোয়ারের স্রোতে। সেখান থেকে কুড়িয়ে আনেন একাকাশ সৃষ্টিশৈলী। চলচ্চিত্র নিয়ে এই প্রথম কিছু কথা প্রকাশ করেছেন। বেছে নিয়েছেন জার্মান ও ইসরাইলের দুটি ভিন্নধর্মী চলচ্চিত্র। এছাড়া বিকল্প ধারার অন্যতম চলচ্চিত্রকার মায়া ডেরেনকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন বাঙালি পাঠকের সঙ্গে। চেরি ব্লোসম্স্, লেমন ট্রি এবং মায়া ডেরেন এক একটি চিত্র-পরিভ্রমণ। কবিতায় যারা এসেছেন তারা ব্যক্তিগতভাবে ফেরদৌস নাহারের চেনা। তাহলে লোরকা? কিন্তু লোরকাকে তিনি অচেনা বলতে নারাজ। কবিতা তাঁদের পরস্পরের চেনা জানার তরণী। কবি শামসুর রাহমান, কেতকী কুশারী ডাইসন ও রনা ব্লুম সকলে সেই একই ডোরে গাঁথা।
সূচিপত্র চিত্রকলায় সুদূর অর্কেস্ট্রা: সালভাদর দালি চলচ্চিত্রে ব্লোসম্স্: একজন সাধারণ মানুষের অসাধারণ জার্নির গল্প লেমন ট্রি: আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মানবিক পৃথিবীর দিগন্ত মায়া ডেরেন: আভাঁ-গার্দ চলচ্চিত্রের অগ্নিকন্যা কবিতায় ঘোড়া এবং সবুজ লোরকা আটলান্টিক পারের নিবিড় কবিত: রনা ব্লুম কেতকীর সঙ্গে একদিন শামসুর রাহমান: হৃদয়ে যাঁর পৃথিবীর আলো