“আদর্শ নারী” বইয়ের ভূমিকা থেকে নেওয়া: বর্তমান বিশ্বে মুসলিম সমাজে নারীদের যথাযথ মূল্যায়ন যেমন হচ্ছে না, তেমনি ইসলামী আদর্শে নারী জীবন গড়ে তােলার লক্ষ্যে বহু বই-পুস্তক বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু সেগুলির অধিকাংশই কুরআন ও ছহীহ হাদীছের পরিবর্তে জাল-যঈফ হাদীছ এবং বানাওয়াট মিথ্যা কৃছছা-কাহিনীতে ভরপুর। যা পড়ে নারীরা প্রকৃত ইসলামী আদর্শ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করতে পারে না। পারে না রাসূলে কারীম (ছাঃ)-এর সুন্নাত অনুয়ায়ী নিজ জীবন ও পরিবার গঠন করতে। কারণ একটা পরিবারকে সুন্দর করে ইসলামী আদর্শে গড়ে তােলার জন্য একজন আদর্শ নারীই হচ্ছে মূলভিত্তি। স্তম্ভ ছাড়া যেমন একটি ঘর শূন্যে দাড়িয়ে থাকতে পারে না, তেমনি আদর্শ নারী ছাড়া আদর্শ পরিবারের আশা করা যায় না। এজন্য নবী করীম (ছাঃ) স্বামী-স্ত্রীকে সমানভাবে আদর্শ পরিবার গড়ে তােলার অধিকার দিয়েছেন। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, স্বামী হচ্ছে কর্তা আর স্ত্রী হচ্ছে কর্তৃ (সিলসিলা ছহীহা)। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, স্বামী যেমন পিরবারের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে স্ত্রীও তেমনি জিজ্ঞাসিত হবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত)। আর এজন্যই নবী করীম (ছাঃ) আদর্শ নারীকে বিবাহ কতে বলেছেন (বুখারী, মুসলিম)।
জন্মঃ শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা চাপাইনবাবগঞ্জের দেবীনগর উপজেলার অধীন মাওলা বক্স হাজীরটলা গ্রামে এক ধার্মিক পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন।পড়াশোনাঃ এলাকার মক্তবে শিক্ষা জীবনের হাতে খড়ি হওয়ার পর তিনি নাচল নবাবগঞ্জ মাদরাসা থেকে হাদীসের অন্যতম কিতাব মিশকাত শরীফ পর্যন্ত পড়েন। তারপর উচ্চ শিক্ষার আশায় ভারত গমন করেন এবং উত্তর প্রদেশের দারুল উলুম মউনাথভাঞ্জান থেকে দাওরা হাদীস শেষ করেন। তিনি দুই বার দাওরা হাদীস শেষ করেছেন। তারপর দেশে ফিরে কর্ম জীবনের পাশাপাশি ফাজিল ও কামিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। তিনি হাদীস ও তাফসীর নিয়ে ১ম বিভাগে কামিল পাশ করেন। শায়খের বক্তব্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি মাজহাব ও মাসলাক নির্বিশেষে আম মুসলমানদের উদ্দেশ্যে নসীহত মূলক বক্তব্য দেন । বিশেষ করে জান্নাত, জাহান্নাম, কিয়মাত, আদর্শ পরিবার, কে বড় ক্ষতি গ্রস্ত ইত্যাদি বিষয়ে তারবক্তব্য মাসলাক মাজহাব নির্বিশেষে সকল মুসলমানের হৃদয়ে নাড়া দিতে সক্ষম। ইসলামী শিক্ষাকে বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তিনি অনেক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন যেমন: আল জামিয়াতুস সালাফিয়া, রুপগঞ্জ নারায়নগঞ্জ, আল মাদ্রাসাতুস সালাফিয়া, আটমল, বগুড়া, বীরকুস্টিয়া দারুল হাদীস সালাফিয়া মাদরাসা বগুড়া। এবং অনেক প্রতিষ্ঠানকে সামনের দিকে এগিয়ে দিতে সহযোগিতা করেন। যেমন আল মারকাজুল ইসলামী আস সালাফী, রাজশাহী এবং মহিলা সালাফিয়া মাদরাসা, রাজশাহী।