"কে বড় ক্ষতিগ্রস্ত? "বইটির ভূমিকা: إن الحمد لله نحمده ونستعينه ونستغفره ونعود بالله من شرور أنفسنا ومن سيئات أعمالنا من يهده الله فلا مضل له ومن يضلل فلا هادي له وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له وأشهد أن محمدا عبده ورسوله বক্তা ও শ্রোতার পরিচয় বইটি প্রকাশের পরপরই কে বড় ক্ষতিগ্রস্ত বইটি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু ব্যস্ততার দরুণ সম্ভব হয়ে ওঠেনি। অবশেষে বিলম্বে হলেও বইটি প্রকাশিত হল। ফালিল্লাহিল হামদ। কে বড় ক্ষতিগ্রস্ত বইটি প্রকাশ করতে পেরে সর্বাগ্রে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। আলহামদুলিল্লাহ। পাঠকদেরও ব্যাপক চাহিদার ভিত্তিতে অনেকদিন আগেই এমন একশটি বই রচনার মনস্থ করেছিলাম। বিশেষ করে বিভিন্ন সভা সমাবেশে যখন বক্তব্য রাখি তখনই এর প্রয়ােজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভূত হয়। উক্ত বিষয়ে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক একটি নির্ভরযােগ্য বইয়ের জন্য সাধারণ মানুষ যেন উন্মুখ হয়ে তাকিয়ে আছে। যা তাদের ইহকাল ও পরকালে পাথেয় হবে। অবশ্য এমর্মে বাজারে কিছু বই চালু থাকলেও অধিকাংশই ছহীহ হাদীছের সাথে সম্পর্কহীন। ছহীহ হাদীছের আলােকে উক্ত বইটির রচনা করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। এ বইয়ে কোন মাযহাব বা বিদ্বানের অন্ধ অনুসরণ করা হয়নি। বরং নিরপেক্ষভাবে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলােকে ক্ষতিগ্রস্তদের কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়েছে। বইটির বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে, টাখনুর নীচে কাপড় পরিধানকারী, অহংকারী ব্যক্তি মিথ্যা শপথকারী, জুয়ায় অংশ গস্খহণকারী, মদ পানকারী, গান বাজনা ও বাদ্য যন্ত্র শ্রবণকারী, খিয়ানতকারী, অত্যাচারী, ওযনে কম দানকারী ইত্যাদি অধ্যায় সমূহ। বইটি প্রকাশে আমাকে একান্তভাবে সহযােগিতা করেছে আমার স্নেহাস্পদ ছাত্র মুযাফফর বিন মহসিন। আরও যারা সহযােগিতা করেছে তাদের সকলের আমি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি। আল্লাহ তাআলা তাদের জাযায়ে খায়ের দান করুন। বইটি আমাদের সকলের জন্য পরকালীন পাথেয় হউক। পরিশেষে বইটি পাঠে সাধারণ মুসলমান সতর্ক হয়ে বড় পাপ ত্যাগ করলে আমাদের শ্রম সার্থক বলে মনে করব।
জন্মঃ শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা চাপাইনবাবগঞ্জের দেবীনগর উপজেলার অধীন মাওলা বক্স হাজীরটলা গ্রামে এক ধার্মিক পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন।পড়াশোনাঃ এলাকার মক্তবে শিক্ষা জীবনের হাতে খড়ি হওয়ার পর তিনি নাচল নবাবগঞ্জ মাদরাসা থেকে হাদীসের অন্যতম কিতাব মিশকাত শরীফ পর্যন্ত পড়েন। তারপর উচ্চ শিক্ষার আশায় ভারত গমন করেন এবং উত্তর প্রদেশের দারুল উলুম মউনাথভাঞ্জান থেকে দাওরা হাদীস শেষ করেন। তিনি দুই বার দাওরা হাদীস শেষ করেছেন। তারপর দেশে ফিরে কর্ম জীবনের পাশাপাশি ফাজিল ও কামিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। তিনি হাদীস ও তাফসীর নিয়ে ১ম বিভাগে কামিল পাশ করেন। শায়খের বক্তব্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি মাজহাব ও মাসলাক নির্বিশেষে আম মুসলমানদের উদ্দেশ্যে নসীহত মূলক বক্তব্য দেন । বিশেষ করে জান্নাত, জাহান্নাম, কিয়মাত, আদর্শ পরিবার, কে বড় ক্ষতি গ্রস্ত ইত্যাদি বিষয়ে তারবক্তব্য মাসলাক মাজহাব নির্বিশেষে সকল মুসলমানের হৃদয়ে নাড়া দিতে সক্ষম। ইসলামী শিক্ষাকে বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তিনি অনেক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন যেমন: আল জামিয়াতুস সালাফিয়া, রুপগঞ্জ নারায়নগঞ্জ, আল মাদ্রাসাতুস সালাফিয়া, আটমল, বগুড়া, বীরকুস্টিয়া দারুল হাদীস সালাফিয়া মাদরাসা বগুড়া। এবং অনেক প্রতিষ্ঠানকে সামনের দিকে এগিয়ে দিতে সহযোগিতা করেন। যেমন আল মারকাজুল ইসলামী আস সালাফী, রাজশাহী এবং মহিলা সালাফিয়া মাদরাসা, রাজশাহী।