লেখকের কথা ভূমি মালিকগণ ভূমি ব্যবস্থাপনা, ভূমি রেকর্ড ও রেজিস্ট্রেশনসহ প্রায় সকল ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হয়। এর মধ্যে কোন মালিকের জমি ভিপি তালিকাভুক্ত হলে তার জন্য এটি একটি বেদনাদায়ক ও কষ্টকর অভিজ্ঞতা। যথাযথ কৃর্তৃপক্সের মাধ্যমে অবমুক্তি, উর্ধ্বতন আদালতের রায় থাকা সত্বেও দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্নভাবে হয়রানী হতে হয়েছে।
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন, ২০০১ (২০১১ সালের সংশোধনী) ও অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্তি বিধিমালা, ২০১২ জারি হবার পর ভূমি মালিকদের এ হয়রানী থেকে স্থায়ী মুক্তিলাভের পথ উন্মুক্ত হয়েছে।
‘ক’ ও ‘খ’ তফসিলে প্রকাশিত অর্পিত সম্পত্তির বিষয়ে ক্ষেত্রমতে ‘জেলা কমিটি’ ও ‘বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনালে’ আবেদন করার বিধান করা হয়েছে। তাই জেলা কমিটি/বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনালে আবেদন করার ক্ষেত্রে প্রাথমিক কিছু ধারনা দেবার জন্য বইটি রচনা করা হয়েছে। ‘জেলা কমিটি/বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনালে’ আবেদন ও পরবর্তী ধাপে আপীল করার বিষয়েও সংক্ষেপে বর্ণনা করা হয়েছে এ বইটিতে।
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আই, ২০১১ ও বিধিমালা ২০১২ এর পাশাপাশি অর্পিত সম্পত্তির সৃষ্টির ধারাবাহিক আইন ও বিভিন্ন সার্কুলার এখঅনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে করে ভূমি মালিকগণ বিভিন্ন আদালতে তাদের দাবীর সমর্থনে প্রমান দাখিলে সহায়ক হবে বলে মনে করি।
পরিশেষে বইটি ভূমি মালিক ও বিজ্ঞ আইনজীবীদের জন্য সহায়ক হলে আমার শ্রম সার্থক হবে।
দ্রুততার সঙ্গে প্রকাশ করায় কিছু মূদ্রণত্রুটি থাকা স্বাভাবিক। পরবর্তীতে পাঠকদের সুপারিশে তা সংশোধনযোগ্য।
জনেন্দ্র নাথ সরকার (উপ-সচিব) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), ঢাকা।
সূচিপত্র * অর্পিত সম্পত্তির বর্তমান ব্যবস্থাপনা * অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন-২০০১, বিধিমালা-২০১২ ও গুরুত্বপূর্ণ সার্কুলার এবং ‘ক’ ও ‘খ’ তফসিল * অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণকালে/ অবমুক্তকালে ভূমি মালিকদের করণীয়
Title
অর্পিত সম্পত্তি সম্পর্কিত আইন অর্পিত সম্মতি অবমুক্তি বিধিমালা ২০১২