ফ্ল্যাপে লিখা কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয় রাজনীতিতে এখন পাদপ্রদীপের আলোর উদ্ভাসিত। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ৩৪ বছর আগে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত বাম দুর্গের পতন ঘটিয়ে তিনি এখন মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল বিজয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব ও জনমুখীতার স্বতন্ত্র অবস্থান। পশ্চিবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফল্যের পেছনে কয়েকটি বিষয় গুরুত্ব পাচ্ছে। দক্ষিণ বাংলায় মোটরগাড়ি ও রাসায়নিক শিল্প স্থাপনে সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামে কৃষি জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় বামফ্রন্ট সরকার। স্থানীয় কৃষক ও অভিজাত শ্রেণীর এ সময় তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণের পাশে এসে দাঁড়ান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাদাসিধে জীবনযাপন করেন। বক্তব্য বিবৃতিতে ও জনসংযোগে রয়েছে তার চিরচেনা এক ভঙ্গি। জনগণের সঙ্গে সহজে মিশেতে পারার ক্ষমতাও তাতে আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত কছে। ২০০৮ সালে সিপিএম পরমাণু চুক্তির বিরোধিতা করে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিঃশর্ত সমর্থন দিয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার দলের নিরঙ্কুশ জয়কে মা, মাটি ও মানুষের জয় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি তার দলের বিজয়কে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের মতো মনীষীদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্র প্রতিষ্টায় জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও জনগণের সঙ্গে একত্র হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
আনু মাহমুদ তরুণ অর্থনীতিবিদ, প্ৰবন্ধকার, কলাম লেখক ও গ্রন্থকার হিসেবে ইতোমধ্যে বেশ পরিচিতি অর্জন করে সুধী পাঠক সমাজে একটি স্থান আয়ত্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও তিনি তার কর্মপরিসরে সরকারি কর্মকর্তা ও এ্যাডমিনেস্ট্রেটিভ সার্ভিসের সদস্য হিসেবে মোঃ মাহমুদুর রহমান নামেই সমধিক পরিচিত। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সরকারের উপসচিব এবং জাতীয় গ্ৰন্থকেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আনু মাহমুদ বেশ সময় ধরে লেখা-লেখির সাথে জড়িত রয়েছেন এবং অনেক চড়াই উৎরাই করে দীর্ঘ পথ পরিক্রমার মাধ্যমে পরিস্ফুটিত হয়েছেন গ্রন্থকারের বর্তমান অবস্থানে এবং সংগ্রহের ঝুলিতে অর্জন করেছেন আর্থ-সামাজিক সমস্যা সম্পর্কিতসহ বহু বিষয় ভিত্তিক গ্রন্থের সফলতা, যা ইতোমধ্যে পাঠক সমাজে বেশ সমাদৃতও হয়েছে। তাঁর লেখালেখির শুরু হয়েছে সেই ছাত্র অবস্থা থেকে, আর তা ক্ৰমান্বয়ে শিকড় গেড়ে পত্র পল্লবে শোভিত হয়ে শাখা বিস্তার করে বর্তমানে রূপ নিয়েছে কাণ্ডে, বৃক্ষে। কিন্তু তার প্রত্যাশা রয়েছে একে ব্যাপক প্রসার ঘটিয়ে এক বিরাট বটবৃক্ষের রূপ দেয়ার। লেখালেখির জগতে যেমন জড়িযে আছেন তেমনি আর্থ-সামাজিক সংগঠনের সাথে। তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা মাহমুদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তাদের দুই সন্তান চাঁদনি ও ইযু। তিনি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য, জনাব মজিবর রহমান তালুকদারের দ্বিতীয় সন্তান।