ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা গ্রীষ্মের ছুটিতে বাড়িতে আসতেই ডার্সলিরা হ্যারি পটারের সাথে এমন নিচ ও ভয়ানক আচরণ শুরু করলো যে, হ্যারি হোগার্টাস স্কুল অব উইচক্রাফট ও উইজারিতে ফিরে যেতে ছটফট করতে লাগলো। কিন্তু হ্যারি যখনই তার জিনিসপত্র গুছাতে লাগলো ঠিক তখনই, এক দুষ্ট প্রকৃতির অজানা জন্তু হ্যারিকে হোগার্টে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে সাবধান করে দিল যে, ভীষণ বিপদ হবে। আসলেই বিপদ শুরু হল। হোগার্টে হ্যারির দ্বিতীয় বর্ষে নতুন সব ভয়ানক পরিস্থিতর আবির্ভাব ঘটতে থাকে, যার মধ্যে ছিল এক অত্যাচারী অধ্যাপক আর মেয়দের বাথরুমে হানা দেয়া এক দুষ্টাত্মা। তারপর শুরু হল আসল বিপদ-কেউ যেন হোগার্টের ছাত্রদের পাথর বানিয়ে দিচ্ছে। সে কি হতে পারে ড্রাকো ম্যালফয়? সে কি হতে পারে হ্যাগ্রিড, যার অতীত রহস্যও অবশেষে এখানে উন্মোচিত হয় কিংবা হতে পারে কি, যাকে সবাই সন্দেহ করছে, হ্যারি পটার নিজেই! সূচিপত্র নিকৃষ্টতম জন্মদিন ডব্বি’র হুঁশিয়ারি দ্য বারো ফ্লারিশ এবং ব্লটস-এ দ্য হোমপিং উইলো গিল্ডবয় লকহার্ট মাডব্লাড এবং মর্মর মৃত্যুদিনের পার্কি দেয়াল লিখন দ্য রোগ ব্লাজার দ্য ডুয়েলিং ক্লাব দ্য পরিজুস পোশন অতি গোপনীয় ডায়রী কর্ণেরিয়াস কাজ আরাগগ দ্য চেম্বার অব সিক্রেটস স্লিথারিনের উত্তরাধিকার ডব্বি’র পুরস্কার
Title
হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অব সিক্রেটস (১৯৯৮) (সিরিজ -২)
জনপ্রিয় ‘হ্যারি পটার’ সিরিজের লেখিকা জোয়ান রাওলিং, যিনি জে. কে. রাওলিং হিসেবে অধিক পরিচিত, জন্মগ্রহণ করেন ইংল্যান্ডের গ্লুস্টারশায়ারের ইয়েট শহরে, ১৯৬৫ সালের ৩১ জুলাই। ছোটবেলা থেকেই তার গল্পের বইয়ের নেশা, আর নতুন নতুন গল্প লিখতেও ভালোবাসতেন তিনি। ছোট বোনকে নিজের বানানো গল্প শোনাতে শোনাতে তার মনে বড় লেখিকা হওয়ার স্বপ্ন তৈরি হতে থাকে। গ্রাম্য পরিবেশেই তার শৈশব কাটে। এক্সিটার ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষে তিনি ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন, তবে এজন্য তাকে পর্তুগাল যেতে হয়েছিলো। পরবর্তীতে পর্তুগাল থেকে যখন তিনি এডিনবার্গ আসেন, তখন তিনি এক সন্তানের জননী, সিঙ্গেল মাদার। এডিনবার্গে এসেই তিনি অর্থাভাবে পড়েন। মূলত অর্থের সন্ধানেই তাকে হাতে কলম ধরতে হয়েছিলো, এর ফসল বিশ্ববিখ্যাত কল্পকাহিনী ‘হ্যারি পটার’। একজন এতিম সহজ-সরল বালক কী করে নিজের ভেতর জাদুর অস্তিত্ব খুঁজে পেলো এবং পর্যায়ক্রমে তার জীবনে ঘটে যাওয়া অদ্ভুত কল্পনাতীত কাহিনী রচনা করেই জোয়ান রাওলিং হয়ে উঠলেন আজকের সাহিত্যজগতের সবচেয়ে পরিচিত নাম ‘জে. কে. রাওলিং’। ব্যবসাসফল এই সিরিজটি তার ভাগ্য ফিরিয়ে আনার সাথে সাথে বিভিন্ন বয়সী বইপোকাকে জাদুকরী রূপকথার ঐ জগতে বিচরণ করতে বাধ্য করেছিলো। জে. কে. রাওলিং এর বই সমগ্র এর মাঝে হ্যারি পটার সিরিজের বই রয়েছে মোট ৭টি। এই ৭টি বই বিশ্বব্যাপী বেস্টসেলারের তকমা অর্জন করেছে এবং ৪৫ কোটি কপিরও বেশি বিক্রি হয়েছে এখন পর্যন্ত। জে. কে. রাওলিং এর বই সমূহ এর মাঝে রয়েছে ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফারস্ স্টোন’, ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অব সিক্রেটস’, ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য প্রিজনার অব আজকাবান’, ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য গবলেট অব ফায়ার’, ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য অর্ডার অব দ্য ফনিক্স’, ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স’, ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস’, ‘দ্য ক্যাজুয়্যাল ভ্যাকেন্সি’, ‘কুক্কুস কলিং’, ‘দ্য সিল্কওয়ার্ম’, ‘ক্যারিয়ার অফ ইভিল’, ‘লিথাল হোয়াইট’ ইত্যাদি। এছাড়াও জ্যাক থর্নে ও জন টিফানির সাথে মিলে লিখেছেন মঞ্চনাটক ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য কার্সড চাইল্ড’। ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি জে. কে. রাওলিং এর অনুবাদ বই সমানভাবে জনপ্রিয়। এই বিলিওনিয়ার লেখিকা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থায় অনুদান দেওয়ার মাধ্যমেও সমাজে ভূমিকা রেখে চলেছেন।