“হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য অর্ডার অব দ্য ফনিক্স (২০০৩) (সিরিজ -৫)" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ ডাম্বলডাের তার হাত দুটো নিচে নামালাে, এবং তার অর্ধচন্দ্রাকৃতি চমশার ভেতর দিয়ে তাকালাে হ্যারির দিকে। ‘এটাই ঠিক সময় সে বললাে, এটাই আমার জন্য ঠিক সময়, তােমাকে সে কথাটা বলার- যে কথা, তােমাকে আমার বলা উচিত ছিলাে পাঁচ বছর আগে। হ্যারি, প্লিজ বসাে তুমি । সবকিছু আমি তােমাকে বলবাে এখন। হােগার্ট স্কুল অব উইচক্র্যাফট অ্যান্ড উইজারড্রিতে হ্যারি পটারের পঞ্চম বর্ষ শুরু করার কথা। হ্যারি অস্থির হয়ে ওঠে গ্রীষ্মের ছুটি শেষ করে স্কুলে ফিরে যাবার জন্য। আরাে বেশি অস্থির হয়ে ওঠে প্রিয় বন্ধু রন আর হারমিওন-এর অদ্ভুত ব্যবহারের কথা ভেবে। পুরাে গ্রীষ্মভরে ওরা দুজন, রন হারমিওন, হ্যারির সঙ্গে বড় রহস্যময় ব্যবহার করেছে। কী যেন লুকোতে ব্যস্ত ছিলাে ওরা, হ্যারির কাছ থেকে। এই অদ্ভুত ব্যবহারের কারণ জানার জন্যও হ্যারি ব্যাকুল হয়ে ওঠে, শিগগির স্কুলে ফিরে যাবার জন্য ওর মন ছটফটাতে থাকে। শেষে, স্কুলে তার নতুন বই বছরে, হ্যারি জেনে ওঠে এক মহা তাজ্জব হয়ে যাবার বিষয়। ওই বিষয়টা এতাে রােমাঞ্চকর, এতাে চাঞ্চল্যকর যে, তা হ্যারির পৃথিবীকে ওলট পালট করে দেয়- ভীষণ রকম ওলট পালট-
Title
হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য অর্ডার অব দ্য ফনিক্স (২০০৩) (সিরিজ -৫)
জনপ্রিয় ‘হ্যারি পটার’ সিরিজের লেখিকা জোয়ান রাওলিং, যিনি জে. কে. রাওলিং হিসেবে অধিক পরিচিত, জন্মগ্রহণ করেন ইংল্যান্ডের গ্লুস্টারশায়ারের ইয়েট শহরে, ১৯৬৫ সালের ৩১ জুলাই। ছোটবেলা থেকেই তার গল্পের বইয়ের নেশা, আর নতুন নতুন গল্প লিখতেও ভালোবাসতেন তিনি। ছোট বোনকে নিজের বানানো গল্প শোনাতে শোনাতে তার মনে বড় লেখিকা হওয়ার স্বপ্ন তৈরি হতে থাকে। গ্রাম্য পরিবেশেই তার শৈশব কাটে। এক্সিটার ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষে তিনি ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন, তবে এজন্য তাকে পর্তুগাল যেতে হয়েছিলো। পরবর্তীতে পর্তুগাল থেকে যখন তিনি এডিনবার্গ আসেন, তখন তিনি এক সন্তানের জননী, সিঙ্গেল মাদার। এডিনবার্গে এসেই তিনি অর্থাভাবে পড়েন। মূলত অর্থের সন্ধানেই তাকে হাতে কলম ধরতে হয়েছিলো, এর ফসল বিশ্ববিখ্যাত কল্পকাহিনী ‘হ্যারি পটার’। একজন এতিম সহজ-সরল বালক কী করে নিজের ভেতর জাদুর অস্তিত্ব খুঁজে পেলো এবং পর্যায়ক্রমে তার জীবনে ঘটে যাওয়া অদ্ভুত কল্পনাতীত কাহিনী রচনা করেই জোয়ান রাওলিং হয়ে উঠলেন আজকের সাহিত্যজগতের সবচেয়ে পরিচিত নাম ‘জে. কে. রাওলিং’। ব্যবসাসফল এই সিরিজটি তার ভাগ্য ফিরিয়ে আনার সাথে সাথে বিভিন্ন বয়সী বইপোকাকে জাদুকরী রূপকথার ঐ জগতে বিচরণ করতে বাধ্য করেছিলো। জে. কে. রাওলিং এর বই সমগ্র এর মাঝে হ্যারি পটার সিরিজের বই রয়েছে মোট ৭টি। এই ৭টি বই বিশ্বব্যাপী বেস্টসেলারের তকমা অর্জন করেছে এবং ৪৫ কোটি কপিরও বেশি বিক্রি হয়েছে এখন পর্যন্ত। জে. কে. রাওলিং এর বই সমূহ এর মাঝে রয়েছে ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফারস্ স্টোন’, ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অব সিক্রেটস’, ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য প্রিজনার অব আজকাবান’, ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য গবলেট অব ফায়ার’, ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য অর্ডার অব দ্য ফনিক্স’, ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স’, ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস’, ‘দ্য ক্যাজুয়্যাল ভ্যাকেন্সি’, ‘কুক্কুস কলিং’, ‘দ্য সিল্কওয়ার্ম’, ‘ক্যারিয়ার অফ ইভিল’, ‘লিথাল হোয়াইট’ ইত্যাদি। এছাড়াও জ্যাক থর্নে ও জন টিফানির সাথে মিলে লিখেছেন মঞ্চনাটক ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য কার্সড চাইল্ড’। ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি জে. কে. রাওলিং এর অনুবাদ বই সমানভাবে জনপ্রিয়। এই বিলিওনিয়ার লেখিকা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থায় অনুদান দেওয়ার মাধ্যমেও সমাজে ভূমিকা রেখে চলেছেন।