ফ্ল্যাপে লিখা কিছু কথা কাগজের টুকরো গুলো আগুনে ছুঁড়ে ফৈলাম আমি । এগুলো পুড়ে যেতে দেখল ও...... অল্প বয়সে এতিম ফিলিপ অ্যাশলি বড় হয়েছে উদারমনা, বয়স্ক কাজিন অ্যাম্ব্রসের কাছে স্বোচ্ছায় চির কুমার অ্যাম্ব্রস ফিলিপকেই ওর উত্তরাধিকারী মনে করে, যে মানুষটি ওর মতোই ওর বাড়িঘর ভালোবাসবে। ক্নিতু অ্যাম্ব্রস ফ্লোরেন্সে বেড়াতে যাওয়ার পরই ভেঙ্গে খানখান হয়ে গেল ওদের দুজনের গড়ে তোলা শান্তির সেই জগৎ। ওখানে পেমে পড়ল সে, বিয়ে করে অবশেষে সহসা প্রাণ হারাল । বলতে গেলে প্রায় সাথে সাথে সদ্য বিধবা -ফিলিপের কাজিন র্যাচেল হাজির হলো ইংল্যান্ডে। অনিচ্ছাসত্ত্বেও এই অসাধারণ সুন্দরী ,অভিজাত রহস্যময়ী নারিটির প্রতি আকৃষ্ট হলো ফিলিপ, যেমন অগ্নি শিখার প্রতি আকৃষ্ট মথ। কিন্তু তারপরেও.....অ্যা্ম্ব্রসের মৃত্যুতে কি হাত ছিল তার? ভূমিকা মাই কাজিন র্যাচেল তারুণ কুশলী নিশ্চয়তার উপন্যাস । ১৯৫১ সালে প্রথম প্রকাশিত হওয়ার পর গার্ডিয়ান এর সমালোচক যেমন লিখেছিলেন,‘গল্প বলার এক পূর্নাঙ্গ নজীর।” সম্ভবত দ্বিধারী মন্তব্য,‘জনপ্রিয় সাহিত্যের ‘ সীমার বাইরে সন্দেহের সাথে স্বাস্থ্যবান প্লট তৈরির ক্ষমতা ,কিন্তু দফনে দ্যু মরিয়ের কাছে ,এমনটি এমনি উল্টো হাতের তারিফও এক ধরনের বাড়তি পাওনা তুলে ধরেছেন। অন্ততপক্ষে জ্যমাইকা ইন বা রেবেকার মতো অতীতের অন্যান্য সফল রচার বিপরীতে মাই কাজিন র্যাচেল সম্পূর্ণ জটিল ভিন্ন জগৎ‘রোমান্স ফিকশন’ বা উইমেন’স ফিকশন’ বা (জর্জ এলিয়টের যৌনবেদনময় ভাষা ব্যবহার করে) নারী লেখকদের উপন্যাসের শ্রেণিতে পুরোপুরি বন্দি নয়। এর নিমার্ণ কুশলতা ,গভীরতা আর জটিলকা নাও হয় , গোড়া থেকেই স্বীকৃতি হয়ে এসেছে। মাই কাজিন র্যাচেল প্রকাশিত হওয়ার সময় দ্যু মরিয়ের বয়স ছিল চল্লিশ বছর , এবং পরের আরও বিশ বছর তিনি উপন্যাস রচনা অব্যাহত রাথলেও এটাই হবে তাঁর শেষ বেস্ট সেলার।এটি তাঁর সৃজনশীল ক্ষমতার স্িনধক্ষণও তুলে দলে বৈকি।পরবর্তী তাঁর একটি মাত্র উপন্যাস (দ্য স্কেপগোট,১৯৫৭) এবং কিছু ছোট গল্প( বিশেষ করে গল্প সংকলন দ্য অ্যাপল ট্রি,১৯৫২) পূর্ণ কল্পনাশক্তির ব্যবহারে তার লেখার শক্তি তুলে ধরেছে; সমৃদ্ধ,বিচিত্র ও উত্তেজনাকর হলেও এইসব গল্প উপন্যাস কথনওই পাঠক প্রিয়তা লাভ করতে পারেনি। সুতরাং মাই কাজিন র্যাচেল এক জটিল বিভাজনরেখা,একধরনের ক্লাইমেক্স এর মতো ;তার উপন্যাস নির্মান পেশার ঠিক মাঝামাঝি সময়ে এর আবির্ভাব এবং নানা ভাবে ঔপনাসিকসুলভ শেষ শক্তিরও প্রকাশ। এখানে শেষবারের মতো দ্যু মরিয়ে তাঁর নৈপুন্যর পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করেছেন যাঁ তাঁকে একজন বেস্ট সেলিং লেখকে পরিণত করেছিল। ফলাফল চোথ ধাঁধানো। প্রিয় একজন কৌশল অর্থ্যাৎ একজন পুরুষ কথক ব্যবহার করে দ্যু মরিয়ে এন ত্রাভেস্তি,প্লট,খিম ওর বিভিন্ন চরিত্রের কার্ড শাফল করেছেন এবং সেগুলোকে নাচিয়েছেন। প্রতিটি অধ্যায় এর আগের ঘটনপ্রবাগ সম্পর্কে আমাদের উপলব্ধিকে পরিহাস করে;প্রতিটি উন্মোচনই যেন আগের প্রতিটি উন্মেচনকে খাটো করছে বা তাঁর বিরোধিতা করছে।এই উপন্যাসটি মারাত্নক প্রভাব তৈরির লক্ষ্যে সময় পরিকল্পনা ওপ্লটকে জোড়া লাগানোর কঠিন শিল্পের এক উদ্দেশ্য মূলক নজীর।রেবেকার মতো নিখুতভাবে এটা দ্যু মরিয়ের পেজ-টার্নিং ফরমাটের ভেতরেই অসঙ্গত সামাজিক সত্যিকে আড়াল করার ক্ষমতা তুলে ধরেছেন। এটা ধারাল উপন্যাস ;ফলা সযত্নে করে রাথা হলেও তার অস্তিত্ব আছে। মোড়কের ভেরতে ,এবং পঞ্চাশ বছর পরও অপবির্তিত রয়েছে এর রক্ষনাবেক্ষণ ক্ষমতা। বেশ প্রখাগতভাবেই শুরু হয়েছে উপন্যাসটি। বেশ স্পষ্টতই এটা একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস হবে এবং এর স্থান পরিচিত দ্যু মরিয়রের এলাকা মরিয়রের নিজ বাড়ী মেনাবিলির (অন্যান্য উপন্যাস বিশেষ করে রেবেকায় কাহিনী রুপ দেওয়া হয়েছে)কর্নওয়েই হবে। কিন্তু গোড়া থেকেই একধরনের স্থানচ্যুতির বোধ হয়েছে।
অনুবাদক শওকত হােসেন-এর আদি নিবাস চট্টগ্রাম জেলার পরাগলপুর গ্রামে। বাবার বিচার বিভাগীয় চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন শহরে কেটেছে বাল্য ও কৈশাের। বই পড়ার অদম্য নেশা পেয়েছেন বই প্রেমী মায়ের কল্যাণে। ১৯৮৫ সালে রানওয়ে জিরাে-এইট অনুবাদের মাধ্যমে হঠাৎ করেই লেখালেখির শুরু শওঁকত হােসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্স করেছেন। বর্তমানে একটি বেসরকারী ব্যাংকে কর্মরত।