ভূমিকা হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে হঠাৎ মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। হার্ট অ্যাটাক হয়েছে এমন দুই তৃতীয়াংশ মানুষ মারা যায় কোনরকম চিকিৎসা পাওয়া ছাড়াই। আর স্ট্রোকের বেলায় চিত্র আরও ভয়াবহ, স্ট্রোকের রোগীরা আধুনিক চিকিৎসা পাওয়ার পরও শতকরা ৩০ জন মারা যায় অথবা বিকলাঙ্গ হয়ে যায়।
হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক - জানা অজানা বইটি গতানুগতিক প্রবন্ধাকারে না লিখে অনুপুংখ বা পয়েন্ট আকারে লেখা হয়েছে। এর প্রতিটি অনুপুংখই একেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বহন করে। আশা করছি বইটি পড়ে পাঠকরা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিতে পারবে এবং এর প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারবে।
বইটির অসম্ভব পাঠক চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় সংস্করণে প্রুফ দেখার মত কষ্টকর কাজটি করেছেন আমার মেজদা নীতীশ চন্দ্র ঘোষ। তাঁর কাছে ঋণী।
বইটি প্রকাশনার যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে আমার স্ত্রী ডা. মল্লিাকা বিশ্বাস এর অনুপ্রেরণা ও সার্বিক সহযোগিতা বইটি প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
পরিশেষে সকলপ্রকার মুদ্রণ ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে পাঠক বইটি পড়ে বিন্দুমাত্র উপকৃত হলে আমার শ্রম সার্থক হবে।
ডা. তৃপ্তীশ চন্দ্র ঘোষ
সূচিপত্র *হার্ট কী? *হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান রিক্স ফ্যাক্টর উচ্চ রক্তচাপ *হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান কারণ রিক্স ফ্যাক্টর ধূমপান *হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান রিক্স ফ্যাক্টর রক্তে *কোলেস্টেরলের ভারসম্যহীনতা বা ডিসলিপিডেমিয়া *হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান রিক্স ফ্যাক্টর ডায়াবেটিস *হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান রিক্স ফ্যাক্টর অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস *হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান রিক্স ফ্যাক্টর অতিরিক্ত ওজন *হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান রিক্স ফ্যাক্টর অপর্যাপ্ত শারীরিক শ্রম *হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান রিক্স ফ্যাক্টর অতিরিক্ত মদ্যপান এবং দৈহিক উচ্চতা *হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান রিক্স ফ্যাক্টর সামাজিক চাপ ও মানসিক দুচিন্তা *হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান রিক্স ফ্যাক্টর হার্ট ফেইলিয়র *হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক নির্ণয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা *হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধ
কবি ডা. তৃতীশ চন্দ্র ঘোষ একজন কার্ডিওলজির অধ্যাপক এবং ময়নামতি মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা'র সাবেক অধ্যক্ষ। তিনি ১৯৯৩ সাল থেকে কুমিল্লা সিডি প্যাথ এন্ড হসপিটালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। তিনি হৃদরোগ প্রতিরোধ, চিকিৎসা, পুণর্বাসন ও গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান—হার্ট কেয়ার ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা, বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। যার মাধ্যমে তিনি হৃদরোগ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরীর পাশাপাশি কয়েক হাজার দুস্থ জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি ‘পদক্ষেপ বাংলাদেশ’-এর কুমিল্লা জেলার শাখা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর-এর আজীবন সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন। অধ্যাপক ডা. তৃপ্তীশ চন্দ্র ঘোষ-এর বহু বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রবন্ধ বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এ পর্যন্ত তাঁর লেখা চারটি কাব্যগ্রন্থসহ এগারোটি বই প্রকাশিত হয়েছে। কবি ডা. তৃপ্তীশ চন্দ্র ঘোষ-এর জন্মস্থান টাঙ্গাইল হলেও বর্তমানে তিনি কুমিল্লায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তাঁর স্ত্রী ডা. মল্লিকা বিশ্বাস কবি ও সনোলোজিষ্ট। তিনি দুই কন্যা ডা. মেধা ঘোষ ও নেহা ঘোষ এবং এক পুত্র দিগ্বিজয় ঘোষ রোহন-এর জনক।