অনেকদিন ধরেই ভারতে মাওবাদী আন্দোলন অত্যন্ত জোরালো হয়ে উঠেছে। ভারত সরকার মনে করে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মাওবাদীরা দেশটির প্রধান শত্রু। এই শত্রু দমনে তৎপরতারও অন্ত নেই। দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়ে রেখেছে সরকার। অথচ ভারতের মাওবাদী আন্দোলন মূলত দেশটির পিছিয়ে পড়া আদিবাসী জনগোষ্ঠীর টিকে থাকারই প্রাণান্ত সংগ্রাম। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো প্রায় ২৪টি জেলার ওইসব এলাকায় প্রবেশ করে আদিবাসীদের ভূমি দখল করে নিচ্ছে। কারণ রাজ্য সরকার পাহাড়ে এবং জঙ্গলে খনিজসম্পদ উত্তোলনের জন্য উন্নয়নের নামে তাদের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এর ফলে ভিটেমাটি হারা হয়ে হাজার হাজার আদিবাসী নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। মিডিয়াও সরকারের পক্ষ হয়ে চালিয়ে যাচ্ছে মিথ্যা প্রচার। উপায়হীন হয়ে পুরুষের সঙ্গে সশস্ত্র সংগ্রামে নেমেছে ওইসব এলাকার নারীরাও। তাদের সংখ্যা কমপক্ষে ৯০ হাজার। তারা কি এই ৯০ হাজারকে গুলি করবে? ভারতের বিশিষ্ট লেখক অরুন্ধতী রায় গিয়েছেন তাদের মাঝে। বেশ কিছুদিন হেঁটেছেন তাদের সঙ্গে। কথা বলেছেন একান্তে। ফিরে এসে ‘ওয়াকিং উইথ কমরেডস’ শিরোনামে লিখেছেন বিখ্যাত আউটলুক পত্রিকায়। অরুন্ধতীর সেই পর্যবেক্ষণের অনুবাদ এই বই। সঙ্গে রয়েছে কোটেশ্বও রাও ও অরুন্ধতী রায়ের দুটি সাক্ষাৎকার এবং বিষয়টি ভালোভাবে অনুধাবনের জন্যে বইয়ের শুরুতে রয়েছে আলফাজ আনাম আহমদ হাসান ইমরান এবং সলির ত্রিপাঠির তিনটি ছোট্ট রচনা।
ই-বুক আকারে প্রকাশিত "সচেতনতা অধ্যয়ন" সিরিজের লেখক মেহেদী হাসান দেশের অনেকের কাছেই একটি সুপরিচিত নাম। তিনি মূলত একজন গবেষক ও পরামর্শদাতা। তিনি তার জীবনে বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন এবং সেসব নিয়ে তৈরি করেছেন তার গবেষণার জগৎ। তিনি কনসালটেন্সি তথা পরামর্শ বিষয়টাকে খুব উপভোগ করেন, কারণ এর জন্য তাকে অনেক কেস স্টাডি ও বাস্তব জ্ঞানার্জন করতে হয়; আর নতুন জ্ঞানার্জন তার প্যাশন। আর সেই প্যাশনকেই তিনি প্রফেশনে রূপান্তর করতে গড়ে তুলেছেন তার অনলাইনভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান Advisers' Link। ইতোপূর্বে তিনি পরামর্শমূলক বই হিসেবে "সচেতনতা অধ্যয়ন" সিরিজ লিখেছেন এবং এখন ক্যারিয়ার বিষয়ে লিখছেন।