মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও. বঙ্গবন্ধুবিরোধীদের রাজনীতির অন্যতম প্রধান অবলম্বনই হচ্ছে ষড়যন্ত্র চক্রান্ত অপপ্রচারণা মিথ্যাচার বিকৃতি আর বিভ্রান্তির ধূম্রজাল সৃষ্টি করা। এই রাজনীতিরই জনক হচ্ছেন জেনারেল জিয়া ও তাঁর সৃষ্ট বিএনপি। এই ধূম্রজাল সৃষ্টি করেই তারা বাংলাদেশের নিরীহ সাধারণ মানুষের ওপর তাদের অপশাসন শোষণ ও প্রতারণার রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। আর এ ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হয় আওয়ামী লীগকে ঘায়েল করার মতলবে। শুধু বিএনপিই নয়, রাজনীতির দর্শনে চিন্তাধারায় বিশ্বাসে তাদের সাথে কণ্ঠ মেলায় জামাতে ইসলামী, মুসলিম লীগ, এরশাদের জাতীয় পার্টিসহ দেশের সমস্ত ইসলামপন্থী প্রতিক্রিয়াশীল দলগুলো। কিছু কিছু অতি বামপন্থী দলও কম যায় না। তখন মনে করার যথেষ্ট কারণ উদয় হয় যে, বাংলাদেশের গোটা রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ বনাম বিএনপি ও অন্যান্য দল অবস্থান নিয়েছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে বিএনপিসহ তার সমমনা সমর্থক রাজনৈতিক দলগুলো আদৌ মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও চেতনায় বিশ্বাসী নয়। তাদের প্রথম প্রধান লক্ষ্য আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সীমাহীন একপেশে নানান অপপ্রচারণা মিথ্যাচার বিকৃতি ও বিভ্রান্তির বিষবাষ্প ছড়িয়ে রাজনীতি ও ক্ষমতার অঙ্গন দখল করা।
আবীর আহাদ। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সাংবাদিকতা ও সাহিত্যাঙ্গনের এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব '৭১-এর বীরমুক্তিযোদ্ধা আবীর আহাদ বাংলাদেশের সুদীর্ঘকালীন স্বাধীনতা সংগ্রাম, '৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপর ব্যাপক গবেষণাকর্মে লিপ্ত থেকে ২০-২২টি ঐতিহাসিক গ্রন্থের প্রবর্তক। '৭৩-'৭৪ সাল। সবেমাত্র তাঁর সাংবাদিকতা ও লেখালেখির জগতে পদার্পণ। একজন টগবগে যুবক। যখন '৭৭ সালে সাহিত্য ও গবেষণামূলক সাময়িকী 'আজকাল' ও '৮০ সালে সাপ্তাহিক 'বঙ্গকণ্ঠ' পত্রিকা সম্পাদনা করতেন তখনও দেখা গেছে তিনি বেশকিছু তত্ত্বগত বিষয়ের অবতারণা করে সামাজিক মানুষের ভাবনার বিকাশ এবং উত্তরণের বিবিধ জটিলতা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে 'বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ' এবং 'বঙ্গবন্ধু: দ্বিতীয় বিপ্লবের রাজনৈতিক দর্শন' ১৯৯২ সালের প্রকাশনাঙ্গনে উক্ত গ্রন্থ দুটি ছিল সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী গ্রন্থ। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যেসব বিষয়ে বিশেষমহল থেকে সীমাহীন মিথ্যাচার ও অপপ্রচারণার বিষবাষ্প ছড়ানো হয়েছে যে-সবের শক্তিশালী জবাব প্রথমেই দিলেন আবীর আহাদ অত্যন্ত জ্ঞানগর্ভ যুক্তিতর্কে ও বাক্যশৈলীতে। তাঁর বৈশিষ্ট্যই হলো, তিনি বক্তব্য দেন খোলামেলা মুক্তমনে, নির্ভীক শব্দচয়নে, বিপ্লবাত্মক ভঙ্গিতে। নির্মল পূতঃপবিত্র বঙ্গবন্ধু সপ্রতিভসত্তায় বাঙালী জাতির হৃদয়পটে ফুলেলস্নিগ্ধতা নিয়ে প্রোজ্জ্বল হয়ে ভেসে উঠবেন।