ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা বাংলাদেশের সশন্ত্র মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয় ১৯৭১ সালে।এই সশন্ত্র মুক্তিসংগ্রাম ছিল বিভিন্ন ঘটনা, বিরূপ পরিস্থিতি ও গুরুত্বের বিষয়ের কারণে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের ক্রমাগত অবনতির চুড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় পরষদের আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন।কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক ও বেসামরিক নেতৃত্ব আওয়ামী লীগ ও তার নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকার করে।বঙ্গবন্ধু এর প্রতিবাদে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। তিনি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমুদ্রে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ তাঁর এই ঘোষণা সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতাযুদ্ধ ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করে। এরপর তিনি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ডাক দিলে বাংলার মুক্তিকামী মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।এদিন মুক্তিযুদ্ধের চুড়ান্ত বিজয় সূচিত হয়।অভ্যুদয় হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের জনগণের জাতীয় জীবনে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা প্রায় দুইশত কবির ছড়া-কবিতা নিয়ে সঙ্কলিত হলো ‘মুক্তিযোদ্ধের ছড়া-কবিতা’ গ্রন্থখানি। এই গ্রন্থটিতে প্রবীন কবিদের পাশাপাশি অনেক প্রতিভাধর তরুণ কবির লেখাও স্থান পেয়েছে। গ্রন্থটি আবৃত্তি উপযোগী এবং মুক্তিযুদ্ধের সেরা কাব্যগ্রন্থ
আসলাম সানী। জন্ম : ৫ জানুয়ারি ১৯৫৮, বেগম বাজার, লালবাগ, ঢাকা। পিতা : মরহুম আলহাজ্ব মোহাম্মদ সামিউল্লাহ, মাতা : মরহুমা শাহানা বেগম। পেশা : লেখালেখি, সাংবাদিকতা, অভিনয়। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত নাট্যকার-নাট্যশিল্পী ও গীতিকার। সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় কবিতা পরিষদ। জীবন সদস্য, বাংলা একাডেমী। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। সদস্য : বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)। প্রকাশনা সম্পাদক, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি। সাংস্কৃতিক সম্পাদক, চিত্রালী পাঠক-পাঠিকা চলচ্চিত্র সংসদ (চিপাচস)। কাব্যগ্রন্থ, গল্পগ্রন্থ, ছড়াগ্রন্থ, জীবনী, সম্পাদনাসহ তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা শতাধিক।