ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা বাউল সমাজ একটি সঙ্গীতাশ্রয়ী সাধন ভজন সম্প্রদায়।এই সাধনাকে তাঁরা জীবন ও জগতে তাঁদের মুক্তির একমাত্র উপায় বলে মনে করেন।তাঁরা সকল সংস্কার, শ্রেণি বা বর্ণবাদ এবং জাতিত্বকে নস্যাৎ করে মানব ধর্মকে কেন্দ্র করে গণমানুষের লৌকিক অধ্যাত্ম সাধনাকে আশ্রয় স্থল ভেবে সাঁইকে পাবার চেষ্টা করেন। এরা কোনো জাতিভেদ মানে না।এরাঁ অসাম্প্রদায়িক মানবতাবাদী। এ সাধক পথের একজন পথিক হলেন বাউল কবি আজাদ শাহ। মো. আবদুল ওহাব রচিত ‘বাউল কবি আজাদ শাহ’গ্রন্থটি বাংলাদেশের লোকসাহিত্যের ভাণ্ডারে এক অনন্য সংযোজন। আজাদ শাহ মেহেরপুর অঞ্চলের বিস্মৃতপ্রায় একজন প্রতিভাধর বাউল কবি।গবেষক আবদুল ওহাব সেই বাউল কবির হারিয়ে যাওয়া গানগুরো সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও মূল্যায়নের চেষ্টা করেছেন এই গ্রন্থে।গ্রন্থটিতে রয়েছে মোট তিনটি অধ্যায় এবং পরিশিষ্ট। প্রথম অধ্যায়ে রয়েছে মেহেরপুরের ভৌগলিক, ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক পরিচয়, দ্বিতীয় অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে আজাদ শাহ’র জীবন কথা। তৃতীয় অধ্যায়ে রয়েছে আজাদ শাহ’র ধর্মদর্শন, সবশেষে পরিশিষ্ট। পরিশিষ্ট স্থান পেয়েছে ৪৪৭টি গান।আধ্যাত্মিক ও অতীন্দ্রিয় জ্ঞানের সাধক আজাদ শাহকে মানবিকী অনুধ্যানে, অনুভবে আবিষ্কার করতে প্রয়াস পেয়েছেন-এই সত্যসন্ধী গবেষক। গ্রন্থটি গবেষক ও পাঠক সমাজে সমাদৃত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। সূচিপত্র *প্রথম অধ্যায় : মেহেরপুরের ভৌগোলিক ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক পরিচয় *দ্বিতীয় অধ্যায় : আজাদ শাহ’র জীবন কথা *তৃতীয় অধ্যায় : আজাদ শাহ’র ধর্মদর্শন *পরিশিষ্ট : আজাদ শাহ’র সঙ্গীত সংকলন