ফ্ল্যাপে লিখা কথা ভিয়েতনামে হো চি মিন সিটির থনসাট বিমানবন্দরে তোলা ছবিতে কবির সঙ্গে তাঁর দোভাষী ফ্যান তিয়েন। নভেম্বর ১৯৮২। জন্ম : ৭ আষাঢ়, ১৩৫২, ২১ জুন ১৯৪৫ জন্মস্থান : গ্রাম-কাশবন, উপজেলা-বারহাট্রা, জেলা -নেত্রকোণা শিক্ষা : স্নাতক (বি,এ পাসকোর্স) পেশা : লেখালেখি গ্রন্থ প্রকাশ : শতাধিক প্রথম কাব্যগ্রন্থ : প্রেমাংশুর রক্ত চাই (নভেম্বর ১৯৭০) উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ : কাব্যগ্রন্থ (১-৪) গদ্যসমগ্র (১-৪)ম নির্বাচিতা, প্রকৃতি ও প্রেমের কবিতাসমগ্র, কিশোরসমগ্র, ভ্রমণসমগ্র, সাক্ষাৎকারসমগ্র, প্রেমের কবিতা, ১০০ রাজনৈতিক কবিতা, নির্বাচিত ১০০ কবিতা, কামকানন, এবং প্যারিস।
ভূমিকা আমার ডান পায়ের গোড়ালিতে একটি চমৎকার তিল আছে। আমার তিলতত্ত্বদর্শিনী পত্নীর ধারণা, ঐ তিলের জোরেই আমি রাশিয়া, ভিয়েতনাম ও কাম্পুচিয়া ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছি। আমার ধারণা, তিলের জোরে নয়, লেনিনের প্রতি ভালোবাসার জোরেই ১৯৮২-তে আমি ঐ তিনটি দেশ ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছিলাম। তা না হলে, নিজ খরচায় বিদেশ ভ্রমণ দূরে থাক, স্বদেশেই প্রায় চলতে পারি না।
ভিয়েতনাম ও কাম্পুচিয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে পরে লিখবো। যাঁর কল্যাণে আমার এই ভ্রমণের সম্ভব হয়েছে, তাঁকে নেয় প্রথমেই লিখলাম। ভল্গারতীরে, যে জায়গাটায় লেনিনের জন্ম এবং তাঁর জীবনের প্রথম সতেরো বছর কেটেছে, সেই জায়গাটি নিয়েই আমার এই গ্রন্থ। মস্কো এবং লেনিনগ্রাড নিয়ে প্রচুর লেখা হয়েছে, কিন্তু উলিয়ানাভোস্কা সম্পর্কে জানার মতো বই আমাদের একটিও নেই। সেদিক থেকে বইটির অনন্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লেনিনের জীবনের প্রথম অধ্যায়টি জানা থাকলে, মানব-ইতিহাসের এই অনন্য প্রতিভাকে হৃদয়ঙ্গম করাটা সহজ ও আনন্দদায়ক হবে বলেই মনে করি।
লেনিনকে অন্তরঙ্গভাবে জানার সুযোগ করে দেবার জন্য মস্কোর রাইটার্স ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের সকৃতজ্ঞ অভিনন্দন জানাই। বইটি যদি তারা রুশ ভাষায় অনুবাদ করবার ব্যবস্থা করেন, তাহলে আরো খুশি হই। আমি চাই লেনিনের দেশ যে আমার ভালো লেগেছে, তা রাশিয়ার মানুষও জানুক। বইটির প্রথমার্ধ লিখেছিলাম ১৯৮২-র ডিসেম্বর, শেষার্ধ লিখেছি সম্প্রতি। অন্যান্য বইয়ের তুলনায় এ বইয়ে মুদ্রণ প্রমাদ, কম কিন্তু আছে। সে জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। বইটি সুন্দরভাবে প্রকাশ করার জন্য প্রকাশক গোলাম মোস্তাফাকে প্রকাশ্যেই প্রশংসা জানাই। মুদ্রণকালে প্রেস-কর্তৃপক্ষ ও প্রেস-শ্রমিকদের অকৃপণ সহযোগিতা পেয়েছি। এবার পাঠকের সহযোগিতা পেলে হয়। কিমধিকমিতি। নি.গুণ
সূচি * ভল্গার তীরে * ভিয়েনাম ও কাম্পুচিয়ার স্মৃতি * সায়গন থেকে কত দূরে হো চি মিন? * ‘কাম্পুচিয়ার বধ্যভূমিতে দাঁড়িয়ে’ * হ্যানয়ে শেষ রাত্রি * গীনসবার্গের সঙ্গে * আমেরিকায় জুয়াখেলার স্মৃতি * পুনশ্চ জাপানযাত্রী * ভূবন ভ্রমিয়া শেষে * পরিশিষ্ট * দিল্লী * দ্বিতীয় পর্ব * পরিশিষ্ট বিশ্বায়ন : দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতির চ্যালেঞ্জ * দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতির চ্যালেঞ্জ * প্রথম সার্ক সম্মেলন ২০০০-এ গৃহীত ‘দিল্লী ঘোষণা’ * প্রস্তাবনা * এবং প্যারিস * প্রথম অধ্যায় : গিমে শাক ও গিমে জাদুঘর * দ্বিতীয় অধ্যায় : এবং প্যারিস * গ্রন্থ পরিচয়
জন্ম: জুন ২১, ১৯৪৫, আষাঢ় ৭, ১৩৫২ বঙ্গাব্দ, যিনি নির্মলেন্দু গুণ নামে ব্যাপক পরিচিত,তিনি একজন বাংলাদেশী কবি এবং চিত্রশিল্পী। কবিতার পাশাপাশি তিনি গদ্য এবং ভ্রমণকাহিনীও লিখেছেন। তাঁর কবিতায় মূলত নারীপ্রেম, শ্রেণি-সংগ্রাম এবং স্বৈরাচার বিরোধীতা, এ-বিষয়সমূহ প্রকাশ পেয়েছে। ১৯৭০ সালে প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রেমাংশুর রক্ত চাই প্রকাশিত হবার পর জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এ-গ্রন্থের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে লেখা হুলিয়া কবিতাটি ব্যাপক জরপ্রিয়তা অর্জন করে এবং পরবর্তীতে এর উপর ভিত্তি করে তানভীর মোকাম্মেল একটি পরীক্ষামূলক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। এছাড়াও তাঁর স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো কবিতাটি বাংলাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তকে পাঠ্য। তিনি ১৯৮২ সালে বাংলা একাডেমী , ২০০১ সালে একুশে পদক এবং ২০১৬ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার অর্জন করেন।