ভূমিকা সবাই ছাত্র হতে পারে। কিন্তু ভাল ছাত্র কয়জন হতে পারে? আপনি কি ভাল ছাত্র হতে চান? আপনার কি ভাল ছাত্র হওয়ার ইচ্ছা আছে? আপনি কি ভাল ছাত্র হতে চেষ্টা করেন? আপনার জন্যই “ ভাল ছাত্র হওয়ার সহজ উপায় ও পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করার কলাকৌশল” বইটি। এই বইটি আপনার নিজেকে যথাযথভাবে তৈরি করতে সাহায্য করবে।এই বইয়ের প্রতিটি অনুচ্ছেদে ভাল ছাত্র হওয়ার জন্য নতুন নতুন কৌশল ও দিকনির্দেশনা দেখানো হয়েছে।
পরীক্ষার প্রস্তুতি কীভাবে নেবেন, পরীক্ষায় ভাল ফলাফল কীভাবে করবেন সে কৌশলগুলো আলোচনা করা হয়েছে। প্রাথিমিক শিক্ষা থেকে ধাপে ধাপে সফলতার সাথে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে, বিসিএস পরীক্ষায় কিভাবে উত্তীর্ণ হবেন সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অকৃতকার্যতা বা ব্যর্থতা থেকে কিভাবে সফল হবেন, -এ সম্পর্কে নতুন নতুন কৌশল দেখানো হয়েছে।
কিভাবে বই পড়বেন? প্রতিটি অনুচ্ছেদ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। পঠিত অনুচ্ছেদ ভালভাবে বুঝে পরবর্তী অনুচ্ছেদে যাবেন। বইটি পড়ার সময় যেসব শব্দ,বাক্য কিংবা অনুচ্ছেদ নিজের জন্য প্রয়োজন মনে হবে সেটিকে একটি হাইলাইটার দিয়ে চিহিৃত করুন।
সূচিপত্র * ছাত্র * ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক * শিক্ষা * গুরুত্বপূর্ন এক পৃ্ষ্ঠা * যে সব গুনাবলি ভাল ছাত্র হতে সাহায্য করে * যেভাবে নিজেকে অনুপ্রাণিত করুন * যেভাবে আপনার মনের নিয়ন্ত্রন নেবেন * ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করুন * নেতিবাচক প্রভাব থেকে দুরে থাকুন * ভাল ছাত্র না হওয়ার কারণ * শ্রেণিকক্ষ থেকে পড়া শেখে নেবেন যেভাবে * পড়ার ঘরে কিভাবে পাঠ নেবেন * পড়া মনে রাখার কৌশল * ইংরেজী ভাষায় ভাল হওয়ার কৌশল * গনিতে ভাল হওয়ার সহজ উপায় * পরীক্ষার জন্য সর্বশেষ প্রস্তুতি * পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার কৌশল * সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রশ্ন ও সহজে উত্তর করার কৌশল * নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় ভাল করার কলাকৌশল * উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষা প্রসঙ্গে কিছু কথা * বিসিএস পরীক্ষার প্রসঙ্গে কিছু কথা * মৌখিক পরীক্ষায় ভাল করার কলাকৌশল * ব্যর্থতা থেকে সফল হওয়ার কৌশল * দুশ্চিন্তা দূর করার কৌশল
Title
ভাল ছাত্র হওয়ার সহজ উপায় ও পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করার কলাকৌশল
বলা হয়-বাল্যকাল মানে সকাল বেলাই একজন মানুষের জীবনের পথপ্রদর্শক। বাউন্ডুলেপনার শুরু স্কুলে থাকতেই ‘ভােজনং যত্রতত্র, শয়নং হট্টমন্দিরে’- এই ছিল মন্ত্র । তারপর সাংবাদিকতা, জেলখাটা, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার কাজকত কী! অবশেষে একদিন কলকাতায় নােঙর ফেলা ১৯৬৩এর দিকে। বন্ধু-বান্ধব জুটল অনেক। তার মধ্যে উঠতি কবি-লিখিয়েরাই সংখ্যাধিক্য। এদের মধ্যে ছিলেন শক্তি, সুনীল, শীর্ষেন্দু, উৎপল, সন্দীপন প্রমুখ আজকের নক্ষত্ররা সান্নিধ্য ও সস্নেহ প্রশ্রয় পেয়েছেন কমল কুমার মজুমদার, গৌর কিশাের ঘােষ, নীরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, সন্তোষ কুমার। ঘােষের মতাে সহৃদয় মানুষদের। নিজের অস্তিত্বকে জানান। দেওয়ার জন্যে লেখালেখির শুরু ১৯৬৫ সালে। মূলত গদ্যের লেখক হলেও পর্বতপ্রমাণ আলসেমির জন্যে কুঁড়ের বাদশা বলে পদ্যকেই বেছে নিলেন বাঙালি ঐতিহ্যের ধারায় । এই ছন্নছাড়া সময়ের ভেতরই কিছুদিন সম্পাদনা করেছেন কৃত্তিবাস'-এর মতাে পত্রিকা। ১৯৭৪ সালে দেশে ফেরা। আর দশজন কুলাঙ্গার ছেলের মতােই মায়ের আদেশ শিরােধার্য করে বিয়ে বা গার্হস্থ্য আশ্রমে প্রবেশ । সাপ্তাহিক সচিত্র সন্ধানীর নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে যাবতীয় খ্যাতি বা অখ্যাতি। এ পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা আট-এর মতাে। পুরস্কারের মধ্যে মাটি খুঁড়ে পাওয়া বাংলা একাডেমি পুরস্কার ১৯৮৪-তে। অনেক বিষয়ের মধ্যে সায়েন্স ফিকশন তার বিশেষ প্রিয় একটি । জন্ম: ১৯৩৮-এ শরিশাদিতে । লেখকের অন্যান্য কটি বই-কবিতা: যাবজ্জীবন পরম উল্লাসে, কবিতার কমলবনে, স্বপ্নবন্দী, অনূদিত উপন্যাস: মৃত্যুর কড়ানাড়া; কিশাের উপন্যাস: ফাতনা; কিশাের গল্প সংকলন: বত্রিশ দাত।