ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা সোভিয়েতে ইউনিয়নের বিলুপ্তি ও সমাজতন্ত্রের বিপর্যয় ঘটেছে খুব নাটকীয়ভাবে এবং হঠাৎ করেই দুই এক বছরের মধ্যে সব ঘটে গেল।মার্কবাদী-লেনিনবাদী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে লেখক এই বইতে সোভিয়েত সমাজতন্ত্রের সত্তর বছরের একটি গভীর বিশ্লেষণ উপস্থিত করেছেন। প্রতিটি কালপর্বের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মতাদর্শগত বিষয় আলাদা আলাদা করে বিশ্লেষণ করেছেন।প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিতর্কিত বিষয়সমূহ নিয়ে এসেছেন এবং যুক্তিতর্কের মাধ্যমে তাঁর নিজস্ব বক্তব্য উপস্থিত করেছেন।লেখাটি পাণ্ডিত্যপূর্ণ হলেও সহজপাঠ্য। সোভিয়েত সমাজতন্ত্রের তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক দিক নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে লেখক সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও পার্টি সম্পর্কিত কিছু সমস্যা চিহ্নিত করেছেন এবং এমন কিছু বক্তব্য উপস্থিত করেছেন, যা মৌলিকত্বের দাবি রাখে। সূচিপত্র *প্রথম অধ্যায় : মার্কসবাদ ও অক্টোবর বিপ্লব *দ্বিতীয় অধ্যায় : প্রথম সমাজতান্ত্রিক সমাজ *তৃতীয় অধ্যায় : স্তালিন প্রসঙ্গে *চতুর্থ অধ্যায় : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও সোভিয়েত ইউনিয়ন *পঞ্চম অধ্যায় : সংশোধনবাদের বিজয় *ষষ্ঠ অধ্যায় : মতাদর্শগত বিচ্যুতি ও আন্তর্জাতিক মহাবিতর্ক *সপ্তম অধ্যায় : গর্বাচভ : সংশোধনবাদের চরম পর্যায় *অষ্ঠম অধ্যায় : কিছু মন্তব্য
Hayder Akbor Khan Rano জন্ম : ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দ, কলিকাতা। হায়দার আকবর খান রনো বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় নেতা। একই সঙ্গে জননেতা ও তাত্ত্বিক। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তেইশটি। রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন, বিজ্ঞান ও সাহিত্য নিয়ে তিনি গ্রন্থ রচনা করেছেন। প্রবন্ধের সংখ্যা অসংখ্য। ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার ছাত্র থাকা অবস্থাতেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তখনই নিষিদ্ধ ঘোষিত গোপন কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। কমিউনিস্ট আন্দোলনের বিভিন্ন ভাঙা-গড়া ও বাঁকমোড়ে তিনি ভূমিকা রেখেছিলেন। ’৬২-র সামরিক শাসনবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা, ষাটের দশকে নতুন ধারার জঙ্গি শ্রমিক-আন্দোলনের অন্যতম স্থপতি, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক, ’৭১-এর রণাঙ্গনের সৈনিক, ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম রূপকার হায়দার আকবর খান রনো’র জীবন বৈচিত্র্যে ভরপুর। বারবার কারাবরণ ও আত্মগোপন জীবন এবং রাজনৈতিক সংগ্রামের পাশাপাশি তিনি লিখে চলেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য।