ভূমিকা মোট তিনটি কাহিনি নিয়ে প্রকাশিত হলো তিন গোয়েন্দার ১২৬তম এই ভলিউমটি। গ্রিন হিলস শহরে নতুন পিৎযা জয়েন্ট খোলা হয়েছে। সেখানে খেতে গিয়ে নানারকম অদ্ভুত ঘটনা ঘটল তিনি গোয়েন্দার চোখের সামনে। এর নেপথ্যে কী রহস্য লুকিয়ে আছে তা জানার জন্য কাজে নেমে পড়ল ওরা। ‘ড্রাগনের গুহা’র কাহিনি এভাবেই এগিয়ে যায়। ভলিউমে একটি ফ্যাণ্টাসি কাহিনি আছে। ট্রী হাউজে চড়ে তিন গোয়েন্দা পৌঁছে গেল বরফ যুগে। ওখানে গুহা মানব , অতিকায় লোমশ হাতি, গুহাভালুক আর হিংস্র খড়গ দন্ত বাঘের দেখা পেল ওরা। মৃত্যু যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে ওদের। ‘গুহা মানবের দেশে ‘নামের এই এই কাহিনির শেষাংশে কী আছে তা এখনই বলছি না। এবার ‘মুণ্ডুকাটা ভূত’ থেকে সামান্য অংশ এখানে তুলে দিচ্ছি। সামনের প্রথম রুম এটা। নিশ্চয়ই বৈঠকখান হবে। এ ঘরে কিছু নেই। এত পুরো হয়ে ধুলো জমে আছে যে, ওরা যেখানেই পা্ রাখে সেখানেই মেঘের মত ওড়ে। ওর মধ্যে কুকুর-বিড়ালের পায়ের ছাপ দেখল কিশোর। সরীসৃপের বুকে হাঁটার দাগও । একটা জিনিস আছে এ ঘরে । তা হলো দোতলায় যাওয়ার সিঁড়ি। কাঠের ঘোরানো সিঁড়ি ওটা। দেখলে বুঝতে অসুবিধা হয় না, এককালে যথেষ্ট মজবুত ছিল দামী কাঠের তৈরি সিঁড়িটা। এখন নড়বড়ে হয়ে পড়েছে ।রেলিঙ ভেঙে গেছে কয়েক জায়গায়। মাকড়সার জাল আর ধুলোয় একাকার। বাইরে অযত্নে বেড়ে ওঠা গাছ-গাছালির আলো আসছে না। বাতাসে কেমন একটা গন্ধ। যদিও এমনটা হওয়ার কথা নয়। দরজা জানালা অনেকগুলো ভাঙা,পাল্লা নেই। ফাঁক দিয়ে নিয়মিত বাতাস চলাচল করে। কাজেই পরিবেশ গুমোট হয়ে ওঠার কোনও কারণ নেই। চারদিকে তাকাল কিশোর। প্রথমে বাঁ দিকে এগোল ওরা সবাই। একটা একটা করে প্রতিটি কামরায় চোখ বোলাল। অনেকগুলো কামরা সবই প্রায় খালি। তিনি গোয়েন্দার এই ভলিউমের কাহিনিগুলো পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করবে।ভিক্টর নীল -এর প্রচ্ছদ বইতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।
জন্মঃ জুলাই ১৯, ১৯৩৬, ঢাকা) একজন বাংলাদেশী লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, এবং জনপ্রিয় মাসুদ রানা সিরিজের স্রষ্টা। সেবা প্রকাশনীর কর্ণধার হিসাবে তিনি ষাটের দশকের মধ্যভাগে মাসুদ রানা নামক গুপ্তচর চরিত্রকে সৃষ্টি করেন। ডাক নাম 'নবাব'। তাঁর পিতা প্রখ্যাত বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও সাহিত্যিক কাজী মোতাহার হোসেন, মাতা সাজেদা খাতুন। তাঁরা ছিলেন ৪ ভাই, ৭ বোন । তিনি ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে সেন্ট গ্রেগরি স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর জগন্নাথ কলেজ থেকে আইএ ও বিএ পাস করেন। ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এমএ পাস করেন। ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতা হিসেবে বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া পেয়েছেন সিনেমা পত্রিকা ও জহির রায়হান চলচ্চিত্র পুরস্কার।