ভূমিকা এটি একটি ওয়েস্টার্ন কাহিনি। এ কাহিনির নায়ক তরুণ জেমি ট্রেভেলিয়ন। বাপের খুনি আর নিজের বংশ পরিচয় জানার জন্য ছোটে বেড়াচ্ছে বুনো পশ্চিমের এ প্রান্ত তেকে ওপান্ত। কিন্তু খু... See more
TK. 130 TK. 116 You Save TK. 14 (11%)
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
ভূমিকা এটি একটি ওয়েস্টার্ন কাহিনি। এ কাহিনির নায়ক তরুণ জেমি ট্রেভেলিয়ন। বাপের খুনি আর নিজের বংশ পরিচয় জানার জন্য ছোটে বেড়াচ্ছে বুনো পশ্চিমের এ প্রান্ত তেকে ওপান্ত। কিন্তু খুনির দেখা পাবে কি। বরং নিজের প্রাণ বাঁচানোই দায় হয়ে উঠল। এখানে বইটির সামান্য অংশ তুলে দিচ্ছি: দুনিয়ার সবকিছু বিস্মৃত হয়েছে জেমি ট্রেভালিয়ন। খুনে বজ্র, বৃষ্টি বা ঝড়ো বাতাস ,কোনওটাই গ্রাহ্য করছে না। মরিয়া এখন ও, হিংস্র ও চরম আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেও অধীর । প্রায় একটা মাস ওকে ধাওয়া করেছে এরা, স্বাভাবিক জীবনে নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছে ।কী এক খুনে মানসিকতা ভর করল জেমির মধ্যে ও নিজেও জানে না। একের পর এক গুলি করল। খালি করে ফেলল চেম্বার। তারপর চকিতে ওয়েস্ট ব্যাণ্ড থেকে খাবলে তুলে নিল দ্বিতীয় পিস্তল। সহসা আবিষ্কার করল ,পাশ থেকে গুলি করছে কেউ। ওর ডান দিকে দু”জন ভূপতিত হয়েছে। তৃতীয় জনের উদ্দেশে এখন পর্যন্ত গুলি করেনি জেমি। কিন্তু তাকে আধ-পাক ঘুরে যেতে দেখতে পেল। প্রমুহূর্তে একই সঙ্গে দুটো গুলি লাগল লোকটা্র শরীরে-একটা জেমির পাটানো। কাটা কলাগাছের মত আছড়ে পড়ল সে ,আর উঠল না। বিক্ষুব্দ বৃষ্টিতে ধুয়ে যাচ্ছে তাজা রক্ত। তিনজনই পড়ে আছে। নিথর । তুমুল বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকল,দৃষ্টি ভূলুণ্ঠিত তিনটি দেহের দিকে। ঘোরমুখা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। ওর কাঁধে হাত রাখল কেউ, তারপর মৃদু স্বরে বলল, ‘তিন নম্বরটাকে ফেললাম বাবার কথা স্মরণ করে’,জেমি। ঘুরে দাঁড়াল ও । বোল্ট! জীর্ণ হ্যাটটা বৃষ্টিতে সয়লা্ব হয়ে গেছে এখন কিন্তু বোল্টের ক্লান্ত মুখ চওড়া হাসি। ঝকঝকে সাদা দাঁত বেরিয়ে পড়েছে । দীর্ঘ কয়েক বছর পর দুই ভাইয়ের দেখা যেমন হওয়া উচিত,তেমনি আন্তরিক ভঙ্গিতে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরল ওরা..। সুলেখক গোলাম মাওলানা নঈম এই ওয়েস্টার্ণ কাহিনিটি ইতোমধ্যেই পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। রনবীর আহমেদ বিল্পবের প্রচ্ছদ বইতে অতিরিক্ত মাত্রা যুক্ত করেছে।