ফ্ল্যাপে লিখা কথা শফিক ফাতেমার জন্ম ১৯ অক্টোবর ১৯৫০ সালে ব্রাক্ষণবাড়িয়া শহরে। তার নিবাস সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার আগনসী গ্রামে। তার বাবা ছিলেন সমবায় ডাইরেক্টরেটের সরকারি কর্মকর্তা। বাবার কর্মক্ষেত্র বদলের সুবাদে বাংলাদেশের বেশ ক’টি জেলায় তার যাবার সুযোগ হয়েছে। সিলেট সরকারি পাইলট স্কূল ও সিলেট মহিলা কলেজে পড়ার সময় চার বছর সিলেটে তার নানাবাড়িতে অবস্থান করেন। একটি উদার সংস্কৃতমনা পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হওয়ার সুবাদে তার মানসিক বিকাশ ঘটে। সাহিত্যচর্চার শুরু এখান থেকেই। নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় ‘দৈনিক আজাদ’ পত্রিকায় মুকুলের মহফিলে লিখে সাহিত্যজীবনের সূচনা। তারপর থেকে আজাদ, সংবাদ, পূর্বদেশ, মোহাম্মদী, জাহানে নও পত্রিকায় নিয়মিত লেখা প্রকাশিত হতে থাকে।
সূচিপত্র সীমানা ঘর রামগড় জলে স্থলে রাঙ্গামাটি যেন শীতল পাটি পায়ের চিহ্ন যেই ঘাটে বরেন্দ্র থেকে পুন্ড্রু মায়াবী চোখের খোঁজে নদীর কূলে পাপিয়া বোলে গোমতি কিনারে শালবন বিহারে লোক কাহিনীর দেশে চোখের নেশা মেশে বারে বারে যাই কাপ্তাই মনে বাজে বীণ সেন্টমার্টিন দাঁড়ায়ে চিম্বুক দেখি বাংলার মুখ মন মধুপুর নয় বেশিদূর
যুগভেরী, আল ইসলাহ, ঊষষী, কলতানেও লেখেন। সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি এসএসসি ও কুমিল্লা মহিলা মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে অনার্স পড়ার সময় ১৯৭০ সালে ডা. মাে. বদিউজ্জামানের সাথে বিয়ে হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেন। ১৯৭৭ সালের শেষ দিকে তিনি স্বামীর কর্মস্থল লিবিয়া চলে যান। সেখান থেকে ফিরে আসেন দীর্ঘ নয় বছর পর। নব্বইয়ের দশক থেকে আবার লেখালেখি শুরু করেন। অনন্যা, রােববার, বিচিত্রা, বিনােদন বিচিত্রা, সবুজ পাতা, প্রথম আলাে, আমার দেশ, প্রকৃতি, আল-আমিন, আল মুজাদ্দিদসহ বিভিন্ন পত্রিকায় লেখেন। দেশের বাইরে বেশ ক'টি দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন সে-অভিজ্ঞতার আলােকে লেখার জগতে বিচরণ।