ভূমিকা পিঠা-খাবারটির কথা মনে এলেই একটা আনন্দানুভূতি বয়ে যায় শরীরজুড়ে। একটা ভালোলাগা ভর করে মনে। কেন? এর উত্তর তো অনেকই দেয়া যায়। বিশেষ করে যারা গ্রাম বা মফস্বল শহরে মানুষ হয়েছেন তাদের কাছে পিঠা খাওয়া আর পিঠা বানানোর কথা বললে রাজ্যের ভালোলাগার কথা বেরিয়ে আসে। নানা জন নানা রসগল্প জুড়ে দিয়ে বসেন পিঠা নিয়ে। আসলেও তাই। এর মর্মার্থ তারাই বোঝেন যারা গ্রামে থেকে বড় হয়েছেন।
একসময় আমাদের দেশে শীত এলেই নানা আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে যেত গ্রামে গ্রামে। নবান্নের ধান উঠলেই কৃষকের মুখে হাসি ফুটত। আর কিষানীরা ব্যস্ত হয়ে পড়তেন নানা স্বাদের পিঠা-পুলি বানাতে। চারদিকে তখন পিঠার গন্ধ মৌ মৌ করত। যদিও এখন আর অতটা হয় না যতটা গল্প করা হয়। এর কারণ মানুষের শহরমুখী হওয়া। তবুও গ্রামে যারা থাকেন তারা অতটা ঘটা করে না হলেও শীত এলেই পিঠা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বলতে গেলে শীতের সময় গ্রামে পিঠা বানানোর এক ধুমই পড়ে যায়। অবশ্য এখন শহরেও শীতের সময় পিঠা বানানোর রীতি চালু হয়েছে। বিশেষ করে গ্রাম থেকে যারা শহরে এসে বসবাস করছেন তারা আজও এ রীতি ধরে রেখেছেন। আর যারা শহরে জন্মছেন এবং বড় হয়েছেন তাদের ভেতর অনেকেই এখন পিঠার বিষয়ে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কিন্তু অনেকেই অনেক পিঠার নাম জানেন না, জানেন না কিভাবে তৈরি করতে হবে।
হ্যাঁ, যারা জানেন না কিভাবে হরেক রকম পিঠা বানিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আনন্দ করে খেতে, তাদের জন্যই ‘নানা স্বাদের পিঠা-পুলি’ সংকলনটি সাজানো হয়েছে। সংকলনটিতে আমাদের দেশের অনেক জনপ্রিয় পিঠা তৈরির পদ্ধতি তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি কিছু বিদেশি পিঠার প্রস্তুত প্রণালিও বর্ণনা করা হয়েছে। আশা করি পিঠার এ সংকলনটি সবার ভালো লাগবে। -সারাহ্ আহমেদ