ফ্ল্যাপে লিখা কথা রাজকন্যার নাম রঙধনু। সে রূপবতী, মিষ্টভাষী এবং দয়ালু। রাজকন্যার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে দেশ থেকে দেশে। রাজকন্যা এক বিকেলে রাজপ্রাসাদের ছাদে যখন ঘুরে বেড়াচ্ছিল তখন সে এক ডাইনির ছেলের চোখে পড়ে যায়। ডাইনির ছেলে তার মাকে বলে সে বঙধনুকে বিয়ে করবে। ডাইনি এই প্রস্তাব নিয়ে রাজার কাছে যায়, কিন্তু রাজকন্যা ডাইনির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। ফলে ডাইনি প্রতিজ্ঞা করে সে রাজকন্যাকে হত্যা করবে। রাজকন্যা যখন ষোল বছরে পা দেয় তখন রাজার কাছে সে আবদার করে সখীদের নিয়ে সমুদ্র ভ্রমণে যাবে। রাজা ভ্রমণের জন্য জাহাজ তৈর করেন। কিন্তু জাহাজের অধিনায়ক হবে কে? রাজা যখন একজন অভিজ্ঞ নাবিকের খোঁজ করছিলেন, ঠিক সে সময় ডাইনির ছেলে নিজেকে অভিজ্ঞ নাবিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে রাজকন্যার ভ্রমণসঙ্গী হয়। ডাইনির ছেলেটি ছিল ভীষণ রকমের বদমেজাজী। সে জাহাজের প্রতিটি মানুষের উপর কারণে-অকারণে নির্মম অত্যাচার চালাতো। রাজকন্যা রঙধনু এর প্রতিবাদ করে ডাইনির ছেলেকে জাহাজের কুঠুরিতে বন্দী করে। রাজকন্যার উপরে অদৃশ্যভাবে নজর রাখছিল ডাইনি। সে যখন জানতে পারে তার ছেলেকে বন্দী করা হয়েছে, তখন সে পাখি হয়ে উড়ে এসে তার ছেলেকে বন্দীদশা থেকে উদ্ধার করে এবং সমুদ্রে প্রচণ্ড ঝড় তুলে জাহাজটি ডুবিয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে ঝোড়ো বাতাস ও সমুদ্রের প্রচণ্ড ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে যায় রাজকন্যার প্রতিটি সঙ্গীকে। শুধু এক দরবেশের আশীর্বাদ ছিল বলে রাজকন্যা ডুবে না গিয়ে কোনোক্রমে ভেসে থাকে এবং একসময় সে উদ্ধার পেয়ে বাবা-মায়ের কাছে ফিরে আসে সঙ্গে নিয়ে আসে এক দ্বীপরাজ্যের রাজপুত্রকে। কিন্তু কিভাবে তা সম্ভব হলো ........ তা নিয়েই এই কাহিনী ..........
Enayet Rasul স্বনামখ্যাত শিশুসাহিত্যিক মোহাম্মদ নাসির আলী ও বেগম মেহের উন নিসা’র দ্বিতীয় পুত্র। ১৯৫৩ সালের ১২ জুন বিক্রমপুরের ধাইদা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। লেখাপড়া ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির ওপর। ১৯৬৫ সালে একটি ছড়া লেখার মাধ্যমে লেখালেখির জগতে বিচরণ শুরু হয়। প্রথম ছড়াটি ছাপা হয় ‘জুনিয়র রেডক্রস’ পত্রিকায়। সব বয়সী পাঠকদের জন্যে লেখেন এনায়েত রসুল। তবে মূলত শিশুসাহিত্যিক। শিশুসাহিত্য সষ্টিতে তাঁর দায়বদ্ধতা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। এনায়েত রসুলের পাঠকপ্রিয় বইগুলোর মধ্যে এক আকাশ মেঘ একপশলা বৃষ্টি, ‘পোড়োবাড়ি রহস্য', ডক্টর নিপুর এক্সপেরিমেন্ট', ‘নিঝুমগড় ভয়ঙ্কর’, ‘ভয়ঙ্করের হাতছানি’ বাতিঘরের বুড়ো’, ‘অন্যরকম বুবাই’, ‘ব্ল্যাকহোল’ ‘ভাষার কথা লেখার কথা’, ‘মেঘপাখি’ ‘মিশন উইথ মাউন্টব্যাটেন, ‘বাঙালির জাতিসত্তা ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, ‘বিজয়ের ছবি', 'মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে’ ‘ভূতসমগ্র', ‘কিশোর গল্পসমগ্র ‘চিচি’, ‘খেয়ালি রাজার দেশে, ‘অপি ও চেঙা বেঙা’ ‘পিকু ও ছেলেধরা', ফুলবালিকা', এক মায়ের গল্প' ইত্যাদি। ‘এক মায়ের গল্প’টির জন্য তিনি ১৯০৮ সালে মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন । বর্তমানে এনায়েত রসুল জাতীয় দৈনিক আমার দেশ’-এ সহ-সম্পাদক পদে কর্মরত। সেইসঙ্গে ছোটদের পাতা ‘এক্কাদোক্কা' পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন।