লেখালেখির জগতে আফজাল হোসেন এখনও নবীনদের দলেই পড়েন। কিন্তু হলে কী হবে! তাঁর লেখার স্টাইলটাই এমন যে, চট করে পাঠক মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়ে। তার লেখা হরর কাহিনীগুলো পড়তে গিয়ে সত্যিইগায়ের লোক খাড়া হয়ে ওঠে। বর্ণনার প্রাঞ্জলতায় প্রতিটি কাহিনিই হয়ে ওঠে সুখপাঠ্য। বইটিতে ১৯টি গল্প ঠাঁই পেয়েছে। এখানে শিরোনাম গল্প ‘প্রেতাত্নার ছায়া’ থেকে সামান্য অংশ তুলে দিচ্ছি, দুঃস্বপ্ন দেখে মাজেদা বেগমের ঘুম ভেগে গেল। ভয়ঙ্কর বীভৎস স্বপ্ন। তিনি এখনও হাঁপাচ্ছেন। এমন ভয়ঙ্কর স্বপ্ন তিনি এর আগে কখনও দেখেননি। তিনি স্বপ্নে দেখেন-প্রাসাদ সমতুল্য একটা বাড়ির করিডর ধরে হাঁটছেন। বাড়ির শ্যাওলা ধরা পুরনো দেয়াল। করিডর ধরে কিছুটা এগোনো পরপরই এক একটা বিশাল দরজা। দরজাগুলোর রং কালো। বন্ধ দরজাগুলোর সামনে গিয়ে দাঁড়ানোর পরই দরজাগুলো বিকট শব্দে আপনা-আপনি খুলে যাচ্ছে। শেষ দরজাটা খোলার পর দেখেন তিনি বাড়ির বাইরে চলে এসেছেন। কেমন ছায়া-ছায়া কুয়াশা ঢাকা একটা খোলা জায়গা। নির্জন ধু-ধু চারদিক। চোখ সয়ে আসতেই তিনি লক্ষ্য করেন-খোলা মাঠটা শুধু সারি সারি কবর। যতদূর চোখ যায় শুধু কবর আর কবর লক্ষ লক্ষ কবর যেন সেখানে! তার গা ছমছম করে ওঠে...বইটির অন্যান্য কাহিনিগুলোও পাঠককে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে। যাঁরা হরর কাহিনির ভক্ত তাঁদের কাছে ‘প্রেতাত্নার ছায়া’ অবশ্যপাঠ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। বইটি ইতোমধ্যেই পাঠক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
আফজাল হােসেন জন্ম : ১৯৮০ সনের ৪ জুলাই। পিতার নাম : মােঃ আবুল কালাম সরদার (মৃত)। পেশায় তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোটের সহকারী রেজিস্ট্রার ছিলেন। শিক্ষাগত যােগ্যতা : ব্যবস্থাপনায় অনার্স-মাস্টার্স, এলএলবি, ব্রজমােহন বিশ্ববিদ্যালয়। লেখালেখিতে আত্মপ্রকাশ : মে ২০০৮, রহস্য পত্রিকায়। সেই থেকে রহস্য পত্রিকায় প্রায় একশত গল্প-উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে।