ফ্ল্যাপে লিখা কথা কৌতুক নিয়ে আমাদের সবারই একটা কৌতুহল রয়েছে। কিন্তু ‘শিক্ষামূলক কৌতুক’ বই লেখার কাজটি কম দুরূহ নয়। সাধারণভাবে আমরা সবাই কৌতুক শুনতে , জানাতে ও জানতে আগ্রহী। কারণটা হলো মানুষের মেধা ও মননে কৌতুক কিন্তু সে কাজটি যথাযথভাবে করতে পারে না। তাই বলা হয় ,কৌতুক হলো এক ধরণের সুকোমল হৃদয়ের চর্চা।
এ বিষয়টির দিকে লক্ষ্য রেখেই রুচিশীল ও পরিমার্জিত ভাষায় বইটি রচিত। এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল, জর্জ ওয়াশিংটন ,আব্রাহাম লিঙ্কন, মহাত্না গান্ধী ,স্যার আইজ্যাক নিউটন থেকে শুরু করে সক্রেটিস ,এডলফ হিটলার কাউকেই বাদ দেয়া হয়নি। আমাদের যাপিত জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়েও শিক্ষামূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে আরও শত শত কৌতুক সংযুক্ত করা হয়েছে।
পরিশেষে বলা যায়, যতিদও বইটি অনেকটা হাস্য-কৌতুকের বিষয় নিয়ে রচিকত তবে এর বিষয়বস্তু কোন অংশে কম নান্দনিক নয়। বইটি ছোটদের জন্য লেখা মনে হলেও , বড়রাও এ বই পাঠক করে আনন্দ আস্বাদন করতে পারবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
আর বইটি পড়ে আরও আনন্দ পেলে লেখক তার পরিশ্রমের সার্থকতা খুঁজে পাবেন। কথায় বলে, ‘ভালো কৌতুক সমাজের পরিধানের জন্য উৎকৃষ্ট প্রতিবিম্বস্বরূপ’।