আমরা এখন প্রচলিত আর আধুনিক সমাজের অধিবাসী। এখন আমরা কাঁচা খাবার খাই না। কারণ, গুহাবাসী মানুষের জীবন শেষ হয়েছে সেই কবে। তাই এখন আমরা খাবার রান্না করে খাই। তবে আমাদের ব্যক্তিভেদে রান্নার স্বাদও যেন ভিন্ন মনে হয়। যেমন খালার হাতের রান্নার সাথে মায়ের হাতের রান্না মেলে না। আবার ভাবির হাতের রান্নার সাথে বড় বোনের রান্নার রয়েছে অনেক অমিল। ঠিক তেমনই রেস্টুরেন্টের খাবারের সাথে বাড়ির খাবারেরও রয়েছে অনেক ফারাক। অথচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এরা প্রত্যেকে প্রায় একই জিনিস দিয়ে রান্না করেন। তবুও কেন এরকম পার্থক্য। এর প্রধান কারণ অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, পার্থক্য হলো, সঠিক রান্নায় সঠিক উপকরণগুলোর যথাযথ ব্যবহারের। একই জিনিস অথচ রেসিপির তারতম্যের কারণে তার স্বাদ যায় পাল্টে। আমরা চাই বা না চাই, শুধুমাত্র রেসিপির কারণেই এক একজনের রান্নায় আসে ভিন্ন স্বাদ। ভিন্ন আমেজ। আরেকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। তা হলো, কোন মজাদার রান্নায় খুব বেশি পরিমাণে মশলা যেমন কখনই কাম্য নয় ঠিক তেমনই কোন রান্নায় মশলার পরিমাণ একেবারে কম হওয়াও বাঞ্ছনীয় নয়। সঠিকভাবে বা সঠিক মাত্রায় রান্না করাটা হলো এক ধরনের আর্ট বা শিল্পকলা। আমরা যারা দীর্ঘ সময় ধরে রান্না নামক শিল্পকলার সাথে জড়িত তারা জানি, রান্নার প্রধান উপকরণ হলো রেসিপি। আপনি যেভাবেই রান্না করুন না কেন, আপনার রান্নার রেসিপি ঠিক না থাকলে সেই রান্না মুখরোচক বা সুস্বাদু হবে না।