ফ্ল্যাপে লিখা কথা ১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে অস্তমিত সূর্য উদিত হয় বাংলার বুকে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। দেশ মাতৃকাকে শৃঙ্খলমুক্ত করার জন্য আপাময় জনসাধারণ যে আত্মত্যাগ করেছে তা অবিস্মরণীয়। বাংলাদেশ সরকার দেশের শ্রেষ্ঠতম সন্তানদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান ও সাহসিকতার জন্য বিভিন্ন কেতাবে সম্মানিত করেন। দ্বীপজেলা ভোলার দৌতখাঁন উপজেলার কৃতিসন্তান বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফা তাদের অন্যতম। তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করে তার সহযোদ্ধাদের জীবন রক্ষা করেন। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরুর আগে বীরশ্রেষ্ট শহীদ সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফা কুমিল্লা সেনানিবাস ছিল এ অঞ্চলের মানুষের জন্য এক বিভীষিকাময় নরকপুরী। এ সেনানিবাসে কর্মরত সেনাসদস্য, ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল ও কলেজের শিক্ষক, কুমিল্লা এলাকার স্বনামধন্য ও গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক ব্যক্তিদের এখানে ধরে এনে পাকবিাহিনী তাদের পাশবিক নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করে। দেশ স্বাধীনের পর ওই সব গণকবর থেকে বীরদের পবিত্র লাশ তুলে যথাযোগ্য মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনী এ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে কুমিল্লা সেনানিবাসে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে ও বিভিন্ন সড়কের নাম দেয়। এসব স্মৃতিচিহ্ন নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে।
Title
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফা এবং মুক্তিযুদ্ধে কুমিল্লা সেনানিবাস