ফ্ল্যাপে লিখা কথা রবীন্দ্রনাথ বাঙালির মহত্তম সৃষ্টিশীল প্রতিভা। তাঁর প্রধান পরিচয় কবি, গীতিকার, ঔপন্যাসিক ও নাট্যকার হলেও বাঙালি জীবনের এমন কোনো দিক নেই যা তাঁর কর্ম ও চিন্তায় সমৃদ্ধতর হয়নি। প্রথাগত দার্শনিক তিনি নন, কিন্তু দর্শন ও ধর্মতত্ত্বেও তাঁর অবদান অসামান্য। রবীন্দ্রনাথের দর্শন নিয়ে এর আগে বেশ কিছু বই প্রকাশিত হয়েছে বাংলা ও ইংরেজিতে। সৈয়দ আবুল মকসুদ এই বইয়ে তুলে ধরেছেন রবীন্দ্রনাথের ধর্মবিশ্বাস ও দর্শনচিন্তার এমন কিছু দিক, যা অন্য কোনো বইয়ে আলোচিত হয়নি। ১৯টি অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথের বিশ্বদৃষ্টি ও তাঁর মানবধর্মতত্ত্ব শুধু নয়, তাঁর দর্শনচিন্তায় বাংলার লোকজ মানবধর্ম ও সুফিবাদের প্রভাব এবং অন্যান্য প্রধান ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে তাঁর অভিমতও। তাঁর সঙ্গে বাট্র্র্যান্ড রাসেল, বেনেদেত্তো ক্রোচেসহ দেশি-বিদেশি দার্শনিকদের ভাববিনিময় বিষয়েও রয়েছে আলোচনা ও বিশ্লেষণ।
সূচিপত্র * প্রবেশক * উপক্রমণিকা * রামমোহন ও দেবেন্দ্রনাথের প্রভাব * ধর্মসাধনা * বাউল ও লোকজ মানবধর্মের প্রভাব * জীবনদেবতা * সাধনতত্ত্ব * সুফিবাদে সিক্ত * ভৌদ্ধ মানবতাবাদ ও ধর্মতত্ত্ব সম্পর্কে * মানবপন্থী বাংলাদেশ * মরমি মানবতাবাদ * হিন্দুধর্ম, ব্রাহ্মধর্ম এবং রবীন্দ্রনাথের ‘ধর্ম’ * রবীন্দ্রনাথ ও ব্রজেন্দ্রনাথ শীল * রবীন্দ্রনাথ-রাসেল সম্পর্ক * রবীন্দ্রনাথ ও ক্রোচে * রবীন্দ্র-বিশ্বদৃষ্টি : মানুষের ধর্ম * ধর্ম প্রবর্তকদের সম্পর্কে অভিমত * জাপানে দর্শন প্রচার ও প্রতিক্রিয়া * পারস্যে ভাববিনিময় * উপসংহার * পরিশিষ্ট
জন্ম ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর এলাচিপুর, মানিকগঞ্জ। শিক্ষা : মাধ্যমিক : ঝিটকা উচ্চ বিদ্যালয়, মানিকগঞ্জ (১৯৬৩); উচ্চ মাধ্যমিক : ঢাকা কলেজ (১৯৬৫); স্নাতক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৬৯); ডিপ্লোমা (সাংবাদিকতা) : পশ্চিম জার্মানি (১৯৭৯); জার্মান ভাষায় প্রশিক্ষণ : বার্লিন (১৯৮৫)। পেশা : সাংবাদিকতা। বার্তা সম্পাদক (অবসরপ্রাপ্ত) বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা।