ফ্ল্যাপে লিখা কথা ফেসবুকে এই সময়ে হৃদয়ের পারস্পরিক ভাব-ভাষা-ভালোবাসা কীভাবে বলা যাবে? একসময় আমাদের ছিল চিঠি লেখার যুগ, সারা রাত জেগে ছিঠিতে রঙিন বাক্য সাজানো। তারপর থরকম্প হৃদয় নিয়ে মধুর প্রতীক্ষা । কোকিলের কুহু ডাক শুনে প্রিয় মানুষের জন্য কত কী ভেবেছিলাম! সেইসব দিন কি গত?
আনিসুল হকের তোমাকে না পাওয়ার কবিতা গ্রন্থে সেই কথা লেখা আছে কাব্যের কুহক ও মণিমুক্তাসহ । তাঁর কবিতা মধুর ও চিত্রকল্পময়। আমাদের দিনযাপনের বলা না -বলা, হারিয়ে যাওয়া অনুভূতিগুলো খুব স্বচ্ছন্দেই তাঁর হাতে কবিতা হয়ে ওঠে। তোমাকে না পাওয়ার কবিতায় কেবল বিরহ নয়, বাসনাও আছে।আছে সুন্দর বর্ণিল জাদু। কবিতাগুলো প্রবলভাবে তুমিময়, তুইময়। বইটি পড়তে পড়তে আপনার মনে হবে, এ তো তোমাকেই বলা হলো এতক্ষণ!
সূচিপত্র * কবিতা বনাম ফেসবুক * চাচাকাহিনি * খুব একটা গোপন বিষয় * আপনি কি? * পাদপদ্মছায়া * অপরের জীবন * বৃষ্টি এলে প্রেম আসে * প্রাপক আমার প্রভু প্রিয় * ভালোবাসো এবং বাসো * দরখাস্ত * আবার কুড়ি বছর পরে * লিমনের ডব্লুএমডি * এক শিশি চোখের জল এবং.. * আবার যেদিন বৃষ্টি হবে * আইওয়া, তোকে বোন বলে ডাকি * দুইটি খাঁচা * কৈশোরক * মৃত্যু ও নারী * এসএমএস * তেইশ বছর আগের প্রেমিকার জন্যে * ভোরের বৃষ্টি আমাকে যা যায বলল * আমার হারিয়ে যাওয়া প্রেমগুলো * নারীসুন্দরীকে নিয়া কবিতা * গোপনতা * চুম্বনগুচ্ছ * সেবিকা
আনিসুল হক, বাংলাদেশে গত শতাব্দীর আশির দশকে আবির্ভূত হওয়া একজন প্রখ্যাত কবি, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও সাংবাদিক। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, গদ্যকার্টুন, রম্যরচনা, ভ্রমণকাহিনী, শিশুসাহিত্যসহ সাহিত্যের নানা ক্ষেত্রে রয়েছে তার সাবলীল বিচরণ। বর্তমানে বাংলাদেশের জনপ্রিয় দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক এবং কিশোর আলোর সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন। আনিসুল হকের জন্ম ১৯৬৫ সালের ৪ মার্চ নীলফামারীতে। শিশু মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক বাবার অনুপ্রেরণায় ছোটবেলা থেকেই আগ্রহ জন্মেছিলো লেখালেখি আর ছবি আঁকায়। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন সাহিত্যজগতে প্রবেশ করেন প্রথম কবিতার বই ‘খোলা চিঠি সুন্দরের কাছে’ প্রকাশের মধ্য দিয়ে। আনিসুল হক এর বই প্রকাশের কালটি ছিলো উত্তাল স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনের সময়। আনিসুল হক এর বই সমূহ প্রেমের প্রতি পক্ষপাত করলেও একইসাথে সেসময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতার চিত্রও ফুটিয়ে তুলেছে। তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘আমি আছি আমার অনলে’, ‘আসলে আয়ুর চেয়ে বড় সাধ তার আকাশ দেখার’, এবং ‘জলরংপদ্য’। মুক্তিযুদ্ধের সত্য ঘটনা নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘মা’, আনিসুল হক এর বই সমগ্র এর মধ্যে পাঠকের মনে সবচেয়ে বেশি দাগ কেটেছিল। এছাড়াও ‘বীর প্রতীকের খোঁজে’, ‘নিধুয়া পাথার’, ‘আয়েশামঙ্গল, খেয়া’, ‘ফাঁদ’, ‘বেকারত্বের দিনগুলিতে প্রেম’, ‘ভালোবাসা আমি তোমার জন্য কাঁদছি’, ‘ফাল্গুন রাতের আঁধারে’ তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। বিভিন্ন স্বনামধন্য পত্রিকার সম্পাদকের ভূমিকা পালন করেছেন দীর্ঘদিন, এখনও লিখে যাচ্ছেন পত্রিকার কলাম। লিখেছেন বেশ কিছু টেলিভিশন নাটক ও সিনেমার চিত্রনাট্যও। কথাসাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন বাংলা সাহিত্যের আধুনিক এই লেখক।