"আবুল হুসেন" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: বিংশ শতাব্দীর বিশের দশকে বাংলায় ঊনবিংশ শতাব্দীর রেনেসাঁসের একটি নবপর্যায় সূচিত হয়েছিল। কলকাতা ছিল রেনেসাঁসের ভিত্তিভূমি, এখন তা সম্প্রসারিত হলাে ঢাকায়। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা পূর্ব বাংলার এই কেন্দ্রস্থানটিকে অসম্ভব গুরুত্ব দান করে। বছর পাঁচেকের মধ্যেই ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’-এর স্থাপনা। যাদের হাতে এর ভিত্তি তৈরি হয়েছিল, তাদের প্রধান ছিলেন আবুল হুসেন (১৮৯৭-১৯৩৮) ও কাজী আবদুল ওদুদ (১৮৯৪-১৯৭০)। এঁরা একটি বার্ষিক পত্রিকা বের করেছিলেন, ‘শিখা’। এঁদের মূলমন্ত্র ছিল ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।' দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মানুষটি তাঁর অল্প আয়ুষ্কালেই বাঙালি-মুসলমানের মননচর্চার একটি তীক্ষোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছেন। এইসব মানুষের জীবন ও কর্মসাধনার পর্যালােচনা-পর্যবেক্ষণ যত হয়, তত আমাদের শিল্পসাহিত্যের জন্যে মঙ্গলকর। মােহাম্মদ আবদুল মজিদ সুপরিচিত প্রাবন্ধিক। তাঁর গদ্যরচনার বিশিষ্টতা ' সারল্যে ও প্রসাদগুণে। সযত্নে তিনি রচনা করেছেন চিন্তাবিদ আবুল হুসেনের জীবন ও কর্মের এই সংক্ষিপ্ত আলেখ্যমঞ্জরী। আবুল হুসেনের এই জীবনী আমাদের সবারই জীবন ও কর্মসাধনাকে পুষ্পিত-পল্লবিত করে তুলবে বলে আশা রাখি।