ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা ‘হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের এক জীবন্ত কিংবদন্তি’-মৃত্যুর আগে বাংলা ভাষার পাঠক, লেখ, গবেষকরা এভারেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেন। তিনি এখন যুগপৎ কিংবদন্তি এবং প্রবাদপুরুষতম। এরকম মূল্যায়নে কোনো আতিশয্য নেই। কারণ প্রযুক্তি এই বিশাল আগ্রসনের যুগে তিনি মানুষকে আবার পড়ার জগতে নিয়ে এসেছিলেন তাঁর লেখনির গুণে। তিনি বাংলা সাহিত্যে শুধু জনপ্রিয় নন, ছিলেন প্রিয় এক লেখকও। তাঁকে নিয়ে অনন্তর গবেষণা চলতে থাকবে। ‘হুমায়ূন আহমেদের ধর্মচেতনা ও মৃত্যুচিন্তা’ গ্রন্থে প্রাধান্য লাভ করেছে তাঁর ধর্মচেতনার বিষয়টি। ‘ধর্মচেতনা’ লেখক ও বিজ্ঞানীদের জীবন-দর্শন বুঝতে এক গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ। পাঠক লেখকের মানসচেতনার এই অন্তর্লীন বিষয় জানতে চান। লোক সমাজের নিজস্ব চিরায়ত বুঝ হলো, লেখক-বিজ্ঞানীরা সাধারণভাবে নিরীশ্বরবাদী হয়ে থাকেন। কিন্তু কবি রবীন্দ্রনাথ থেকে বিজ্ঞানী আইনস্টাইন পর্যন্ত সকলকে আমরা দেখতে পাই ঈশ্বরবাদী হিসেবে। ধর্মাদর্শ নিয়ে তাদের সুস্পষ্ট মতামত রয়েছে। তবু তাদের নিয়ে নিরন্তর বিতর্ক চলছেই, চলতে থাকবেও। কিংবদন্তি লেখক হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে এমন অতি-আগ্রহের কমতি দেখি না। তবে অন্যান্য লেখক-কবিদের তুলনায় হুমায়ূন আহমেদ অনেক বেশি অগ্রসর, এ অর্থে যে, তিনি আন্তিক্য-নাস্তিক্য প্রশ্নে সোজাসাপটা অনেক কথা বলে গেছেন। তাঁর স্পষ্ট মতামত রেখেছেন এসব স্পর্শকাতর বিষয়ে। এ বিষয়ক আবেগকে প্রকাশ করতে তিনি কখনো দ্বিধা করেন নি।
ড. মােহাম্মদ হাননান সহস্রাব্দ ও শতাব্দীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সাহিত্য, বিজ্ঞান, ইত্যাদির ওপর যে। সংগ্রহ-সংকলনটি করেছেন তা অনুসন্ধিৎসু যে-কোনাে পাঠকের কাছেই বিশ্বকোষের স্বাদ এনে দেবে। শতাব্দীর বাংলাদেশ, শতাব্দীর বিশ্ব, সহস্রাব্দের বাংলাদেশ, সহস্রাব্দের বিশ— গ্রন্থ চারটিকে নানাভাবেই সাজানাে যায়। এখানে পাঠক বাংলাদেশকে পাবেন দু’ভাবে-শতাব্দী ও সহস্রাব্দের মতাে করে, আবার বিশ্বকেও পাবেন শতাব্দীর পাশাপাশি সহস্রাব্দের পটভূমিতে। শতবছর অথবা হাজার। বছরের পরিক্রমায় বাংলাসমাজ ও বিশ্বসমাজ এভাবেই গ্রন্থ চারটিতে মূল্যায়িত হয়েছে।