bফ্ল্যাপে লিখা কথা/bbr/ বায়োবোট নিওক্সকে এগিয়ে আসতে দেখে পিহিনার চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেল। নিওক্স এগিয়ে আসছে আর বলছে, পিহিনা আপনি কীভাবে মৃত্যুবরণচান? পিহিনা বুঝতে পারল তার মৃত্যু আসন্ন। কারণ এখন আর তাকে কেউ সাহায্য করতে পারবে না। সে যে ছুটে পালিয়ে যাবে সেই উপায়ও নেই। তার একটা পা ধাতব শিকলে আটকানো। আবার বাইরে থেকে কেউ এসে যে তাকে উদ্ধার করবে সেই সম্ভাবনাও নেই। কারণ কেউ জানে না যে, গোপন এই গবেষণাগারে সে একটা খাঁচার মধ্যে বন্দি যেখানে বিভিন্ন প্রাণীদের শরীরের উপর নানা ধরনের বৈজ্ঞানীক পরীক্ষা করা হয়।br পিহিনা যখন এরকম ভাবছে নিওক্স তখন তার একেবারে কাছে চলে এসেছে। নিওক্স লাল চোখে তার দিকে তাকিয়ে আবার বলল, পিহিনা বলুন আপনি কীভাবে মৃত্যুবরণ করতে চান? যদি না বলেন তাহলে আমি প্রথমে আপনার দুটো পা ভেঙ্গে ফেলব, তারপর আপনার হাত দুটোকে ভাঙব, তারপর মাথাটাকে গুঁড়িয়ে মস্তিষ্ক বের করে আনব। সেই মস্তিষ্কের উপর দিয়ে আমি হেঁটে যাব। করতে পিহিনা বুঝতে পারল নিওক্স মিথ্যা বলছে না। কারণ কিছুক্ষণ আগে অন্য একজন মানুষকে নিওক্স ঠিক একইভাবে হত্যা করে তার মস্তিষ্কের উপর দিয়ে হেঁটে বেড়িয়েছে। পিহিনা হাল ছেড়ে দিল। সে বুঝতে পারল তার চোখের সামনে সবকিছু অন্ধকার হয়ে আসছে, এখন সে ঠিকভাবে শ্বাসও নিতে পারছে না। তারপর, তারপর একসময় অন্ধকারটাও হারিয়ে যেতে থাকল তার চোখের সামনে থেকে। পিহিনা অনুমান করল, সে সত্যি মারা যাচ্ছে। বাস্তবে কী ঘটেছিল পিহিনার জীবনে? সত্যি কী শেষ পর্যন্ত সে মৃত্যুবরণ করেছিল? bফ্ল্যাপে লিখা কথা/bbr/ বায়োবোট নিওক্সকে এগিয়ে আসতে দেখে পিহিনার চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেল। নিওক্স এগিয়ে আসছে আর বলছে, পিহিনা আপনি কীভাবে মৃত্যুবরণচান? পিহিনা বুঝতে পারল তার মৃত্যু আসন্ন। কারণ এখন আর তাকে কেউ সাহায্য করতে পারবে না। সে যে ছুটে পালিয়ে যাবে সেই উপায়ও নেই। তার একটা পা ধাতব শিকলে আটকানো। আবার বাইরে থেকে কেউ এসে যে তাকে উদ্ধার করবে সেই সম্ভাবনাও নেই। কারণ কেউ জানে না যে, গোপন এই গবেষণাগারে সে একটা খাঁচার মধ্যে বন্দি যেখানে বিভিন্ন প্রাণীদের শরীরের উপর নানা ধরনের বৈজ্ঞানীক পরীক্ষা করা হয়।br পিহিনা যখন এরকম ভাবছে নিওক্স তখন তার একেবারে কাছে চলে এসেছে। নিওক্স লাল চোখে তার দিকে তাকিয়ে আবার বলল, পিহিনা বলুন আপনি কীভাবে মৃত্যুবরণ করতে চান? যদি না বলেন তাহলে আমি প্রথমে আপনার দুটো পা ভেঙ্গে ফেলব, তারপর আপনার হাত দুটোকে ভাঙব, তারপর মাথাটাকে গুঁড়িয়ে মস্তিষ্ক বের করে আনব। সেই মস্তিষ্কের উপর দিয়ে আমি হেঁটে যাব। করতে পিহিনা বুঝতে পারল নিওক্স মিথ্যা বলছে না। কারণ কিছুক্ষণ আগে অন্য একজন মানুষকে নিওক্স ঠিক একইভাবে হত্যা করে তার মস্তিষ্কের উপর দিয়ে হেঁটে বেড়িয়েছে। পিহিনা হাল ছেড়ে দিল। সে বুঝতে পারল তার চোখের সামনে সবকিছু অন্ধকার হয়ে আসছে, এখন সে ঠিকভাবে শ্বাসও নিতে পারছে না। তারপর, তারপর একসময় অন্ধকারটাও হারিয়ে যেতে থাকল তার চোখের সামনে থেকে। পিহিনা অনুমান করল, সে সত্যি মারা যাচ্ছে। বাস্তবে কী ঘটেছিল পিহিনার জীবনে? সত্যি কী শেষ পর্যন্ত সে মৃত্যুবরণ করেছিল?
লেখক মোশতাক আহমেদ এর জন্ম ১৯৭৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর, ফরিদপুর জেলায়। পেশায় একজন চাকুরিজীবী হওয়া সত্ত্বেও লেখালেখির প্রতি তাঁর আগ্রহ প্রচুর। এ পর্যন্ত সায়েন্স ফিকশন নিয়েই সবচেয়ে বেশি লিখেছেন। বাংলা সায়েন্স ফিকশন জগতে তার পোক্ত একটি অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও মোশতাক আহমেদ এর বই সমূহ ভৌতিক, প্যারাসাইকোলজি, মুক্তিযুদ্ধ, কিশোর ক্ল্যাসিক, ভ্রমণ ইত্যাদি জঁনরাতে বিভক্ত। যেকোনো একটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখতেই পছন্দ করেন। মোশতাক আহমেদ এর বই সমগ্র সংখ্যায় পঞ্চাশ পেরিয়েছে। তাঁর প্রথম প্রকাশিত বই ছিল ‘জকি’। এটি একটি জীবনধর্মী উপন্যাস। ২০০৫ সালে এটি প্রকাশিত হয়। মোশতাক আহমেদ পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রথমে ফার্মেসি বিভাগে, পরে আইবিএতে। পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ডের লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপরাধবিজ্ঞান থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। পড়াশোনার খাতিরেই হোক বা কর্মজীবনের তাগিদেই হোক, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অনেক ভ্রমণ করেছেন। সেসব ভ্রমণকাহিনীর আশ্রয়ে তাই ক্রমেই সমৃদ্ধ হয়েছে তাঁর লেখা ভ্রমণকাহিনীগুলোও। তাঁর সৃজনশীল কর্মকাণ্ড শুধু লেখালেখিতেই গণ্ডিবদ্ধ নয়। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাজারবাগের পুলিশ ও পাকিস্তানী হানাদারবাহিনীর মধ্যে একটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। সে ঘটনার ওপর ভিত্তি করে মোশতাক আহমেদ ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ’ নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন। এটি ২০১৩ সালের মার্চ মাসে মুক্তি পায়। তাঁর পুরস্কারের ঝুলিতে এ পর্যন্ত রয়েছে ২০১৩ সালের কালি ও কলম সাহিত্য পুরস্কার, ২০১৪ সালের ছোটদের মেলা সাহিত্য পুরস্কার, ২০১৪ সালের কৃষ্ণকলি সাহিত্য পুরস্কার, ২০১৫ সালের সিটি আনন্দ আলো পুরস্কার এবং সর্বশেষ সংযুক্তি হিসেবে সায়েন্স ফিকশন বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৭।