ফ্ল্যাপে লিখা কথা যে কোন প্রথাগত ধর্মীয় বই থেকে এই বইটি সম্পূর্ণ আলাদা। বইটি যেমন নিছক ধর্ম পরিচিতি নয়, তেমনি নয় ধর্মতত্ত্বের তুলনামূলক বিশ্লেষণও। ধর্মসাগর মন্থন করে বেইটিতে অমৃত তুলে এনেছি, এমন অমোঘ উচ্চারণের দুঃসাহস নেই। মানুষের মনের নির্মল ধর্মচিন্তা পরিবেশ দূষণের মতোই কীভাবে প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে, কীভাবে ধর্মন্ধতা ও কূপমণ্ডুকতার প্রবল পরাক্রমে ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধ, এক ধর্মের সাথে আরেক ধর্মের সংযোগ কোথায়, বিভেদেই বা কোনো মনের ভিতর গুমরে থাকা এসব প্রশ্নের যুক্তিভিত্তিক উত্তর রয়েছে বইটিতে। বইটিতে সন্নিবেশিত বিশটি স্বয়ংসম্পূর্ন প্রবন্ধের মাধ্যমে সর্বান্তকরণে যে কথাটি বলার চেষ্টা করা হয়েছে তা হলো ধর্মের অন্ধ মোহ থেকে মানুষ মুক্ত হোক, সর্বক্ষেত্রে মানুষ হয়ে উঠুক সংবেদনশীলি ও যুক্তিশীল। তাই এই বইটি ধার্মিক-অধার্মিক সকল ধর্মের সকল মানুষের জন্যই।
সূচি * ধর্ম-অধর্ম * ধর্ম-চেতনার উন্মেষ * ধর্ম বৈচিত্র্য * ধর্ম ও দর্শন * আধ্যান্তিক দর্শন * স্রষ্টার স্বরূপ * আত্নাতত্ত্ব * মহাবিশ্বের সৃষ্টিতত্ত্ব * ঈশ্বর ও ইবলিস * স্বর্গ-নরক * র্ধম বনাম ধর্ম * আদম-হাওয়া বৃত্তান্ত * ধর্মে নান্দনিকতা * আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি * সংস্কৃতির ধর্মীয় অবয়ব * ব্রাত্যজনের ধর্ম * প্রাকৃতজনের ধর্ম ও সংস্কৃতি * ধর্মের আবোল তাবোল * লৈঙ্গিক আপেক্ষিকতা * মৌলবাদের সেকাল একাল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবনের পরিসমাপ্তি। দৈনিক “দ্য পিপল” পত্রিকায় সাংবাদিকতা পেশায় হাতেখড়ি। সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কোটাপ্রথার শুভঙ্করের ফাঁকিতে পড়ে বাধ্য হয়ে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চাকরিতে যোগদান। জনসংযোগ বিভাগসহ দু-দশক ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন কালেও সাহিত্যসাধনার দুর্নিবার স্বপ্ন-আকাক্ষায় মন অনুরণিত ছিল। প্রতিনিয়ত সাহিত্যচর্চার পরাজুখ পরিবেশে কাজ করার ওই সময়কালেও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাময়িকীতে, বিশেষ করে দৈনিক ইত্তেফাকের বিভিন্ন বিভাগে নিয়মিত লেখালেখি অব্যাহত ছিল। বাজারে হঠাৎ চালের মূল্য অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় একজন অর্থমন্ত্রী কর্তৃক দেশবাসীকে ভাতের বদলে সিদ্ধ বাঁধাকপি খাবার পরামর্শের সমালোচনা করে “দ্য ডেইলি স্টার”-এ একটি উপ-সম্পাদকীয় লেখায় কর্তৃপক্ষের কোপনলে পড়ে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ। এরপর দীর্ঘদিন ‘দ্য ডেইলি স্টার’-এ “বাই দ্য নাম্বার’ শীর্ষক একটি নিয়মিত সাপ্তাহিক কলাম লেখায়। ব্যাপ্ত থাকা। দ্য ডেইলি স্টার’-এর সুবাদে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পত্রিকায় কয়েকটি লেখা পুনর্মুদ্রিত হয় এবং কিছু লেখা বিভিন্ন সংকলনে সংস্থিত হয়। বিদেশে অবস্থানহেতু লেখালেখিতে সাময়িক ছেদ পড়ে। বর্তমানে ডেইলি সান’-এর সাথে সংশ্লিষ্টতার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক গবেষণায় সম্পৃক্ত।