"সোনামণির অসুখে যা জানা জরুরি" বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ শিশু খেতে না চাইলে কি করবেন? কলা খেলে কি ঠান্ডা লাগে? গরমে কি কৃমির ওষুধ খেতে মানা? কোন বয়সে কি খাবার দেবেন? বুকের দুধ না পেলে কি করবেন? শিশুর জ্বর, কাশি বা ডায়রিয়ায় কি করবেন? এ ধরণের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর এক মলাটের মধ্যে পাওয়া যাবে এই গ্রন্থে। ব্যাপক পাঠক সমাদৃত লেখকের আগের দুটি গ্রন্থের ধারাবাহিকতায় এই বইটি পড়লেও বাবা-মায়েরা শিশুর অসুখ সম্পর্কে বিশদ ধারনা পাবেন, আর তাদের সন্তানকে প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দিতে পারবেন। এতে করে অপ্রয়ােজনে তাদের ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা আর একগাদা ওষুধ খাওয়া থেকেও শিশু রক্ষা পাবে। বাঁচবে অর্থ ও সময়। বস্তুত সন্তানের অসুস্থতায় আমরা অস্থির হয়ে একেকজনের একেকরকম পরামর্শে বিভ্রান্ত হই। অনেকে আবার ডাক্তার না দেখিয়ে ফার্মেসি থেকে ওষুধ কেনেন! এ বইটি বাবা-মায়ের অস্থিরতা আর বিভ্রান্তি দূর করবে। নিত্যদিনের অসুখ ছাড়াও অটিজম, পেটে ব্যথা, বিছানায় প্রসাব করা নিয়েও পরামর্শ পাওয়া যাবে এতে। রােগ না হওয়ার জন্য কি করা উচিত, কোন টিকা কখন নিতে হবে— এসব নিয়েও আলােচনা করা হয়েছে এতে। জটিল ডাক্তারি ভাষা পরিহার করে সহজ, সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা বইটি শিশুর রােগ নিয়ে আমাদের প্রচলিত অনেক ধারণা বা বিশ্বাসকে পালটে দিবে। মােট কথা শিশুর যত্ন ও চিকিৎসার সম্পূর্ন গাইড হতে পারে এই গ্রন্থ।
ডা. আবু সাঈদ শিমুল, জন্ম চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার লড়িহরা গ্রামে। মা-রোকেয়া বেগম, বাবাআবুল কাশেম চৌধুরী। এমবিবিএস পাশ করেছেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে । বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত আছেন। ডা. আবু সাঈদ শিমুলের শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখালেখির শুরু ছাত্র অবস্থা থেকেই। তা আরও বেগবান হয় একটি জাতীয় দৈনিকের স্বাস্থ্য পাতার বিভাগীয় সম্পাদক হওয়ার পর থেকে । সময়ের সাথে সাথে লিখতে থাকেন। দৈনিক প্রথম আলো, সমকাল, সকালের খবর, আমার দেশ, ডেইলি স্টার সহ অসংখ্য পত্রিকায় । লিটেল ম্যাগাজিন সম্পাদনা ও সাংবাদিকতা করেছেন ছাত্র অবস্থায়। লেখালেখি ছাড়াও বিতর্ক ও আবৃত্তিতে লেখক সমান পারদর্শী । ২০০০ সালে জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সব মেডিকেল কলেজের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বক্তা হন। প্রতিষ্ঠা করেন সিলেট মেডিকেল কলেজ ডিবেটিং ক্লাব। সিলেট জেলা ডিবেটিং সোসাইটিরও সভাপতি ছিলেন তিনি। আবৃত্তিতে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়েছেন। এ পর্যন্ত লেখকের স্বাস্থ্যু বিষয়ক তিনটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে এবং সবগুলোই পাঠকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে ডা. আবু সাঈদ শিমুল এক সন্তানের জনক (ইয়াদ বিন সাঈদ)। তার সহধমীনী ডা. ফারহানা হােসেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ এবং একটি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক।