ফ্ল্যাপে লিখা কথা বহির্বিশ্বে আজ বাংলাদেশের ব্যাপক পরিচিত ঘটেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যামে। এ যাবৎ পৃথিবীর মানুষ দেশটিকে চিনে এসেছে তার দারিদ্র দিয়ে, আর এখন চিনতে পেরেছে দারিদ্র্য নিরসনের এক অনন্য মডেলের মাধ্যামে। বিত্তহীন মানুষকে বিনা জামানতে স্বল্পপুঁজির ঋণ দিয়ে তাদেরকে উৎপাদনে শরিক করা, আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচতে সাহায্য করার যে দৃষ্টান্ত ড. ইউনূস তাঁর গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে স্থাপন করেছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে তো বটেই, উন্নত বিশ্বেরও অনেক দেশে তা আজ মডেল হিসেবে বিবেচিত ও অনুসৃত হচ্ছে। সম্প্রতি এক বিখ্যাত সাময়িকীতে তাঁর সম্পর্কে লেখা হয়েছে : ’বাঙালি বলতে যে পরশ্রীকাতর, অলস, কর্মবিমূখ, স্বার্থপর, পরমূখাপেক্ষী জীবকে বোঝায় তার ঠিক বিপরীত মেরুতে মুহাম্মদ ইউনূসের অবস্থান।’ এই বাস্তববাদী, কর্মিষ্ঠ মানুষটির পেছনে রয়েছে একজন ভিশনারী, স্বপ্নদৃষ্টা। বিশ্বাস করেন তিনি, স্বপ্ব দেখার ক্ষমতাই মানুষের বড় ক্ষমতা। ভাবেন, কেমন হবে একবিংশ শতাব্দীর পৃথিবী, বাংলাদেশ। কীভাবে নতুন শতকের/সহস্রাব্দের চ্যালেঞ্জকে আমরা মোকাবেলা করতে, তার সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে পারি। বাংলাদেশ : ২০১০ -এর অন্তর্ভূক্ত লেখাগুলোতে পাঠক সেই বাস্তববাদী, স্বাপ্নিক মানুষটিরই পরিচয় পাবেন। আগামীতে তথ্যপ্রযুক্তির বিশাল সম্ভাবনার কথা বলতে গিয়ে লেখক অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগসৃষ্টির কথা বলেছেন। পাশাপাশি সতর্ক করে দিয়েছেন : আগামীদিনের প্রযুক্তিবিদকে সমাজশিল্পী হতে হবে। বলেছেন, প্রযুক্তির তলানি কুড়ানো নয়, প্রযুক্তির পিঠে জাতিকে সওয়ার করিয়ে দেওয়াই হবে আমাদের কর্তব্য ।
সূচিপত্র বাংলাদেশ ২০১০ দারিদ্র্য ও ক্ষুধা আমাদের নির্মূল করতে হবে আগামীদিনের গ্রাম প্রযুক্তির পিঠে সওয়াব হবো, নাকি প্রযুক্তির তলানী কুড়াব ধন্যবাদ বিংশ শতাব্দী
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস (জন্ম: ২৮ জুন, ১৯৪০) বাংলাদেশী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একজন শিক্ষক। তিনি ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তক। অধ্যাপক ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন। ইউনূস বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার সহ আরও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন।