ভূমিকা মানবজীবনের সূচনাতে কেউ চিন্তাশীল ছিলো না। তখন জীবন ছিলো আজকের বন্যপ্রাণীদের মতো। এক কথায় মানুষ অন্যান্য বন্যপ্রাণীর মতো দল বেঁধে বনে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতো। তাদের নির্দিষ্ট কোনো বাসস্থান ছিলো না। তারপর মানুষ যখন কিছুটা ভাবতে শিখলো তখন থেকেই তাদের মাথায় অসংখ্য প্রশ্ন ভিড় করতে লাগলা। জীবন,জগৎ ও মহাবিশ্বের নানা বিষয়ে চিন্তা -ভাবনা এবং তার উত্তর খুঁজতে লাগলো চিন্তাশীলরা। এভাবে কেটে গেলো হাজার হাজার বছর । মানবসভ্যতার উন্নতির সাথে সাথে মানুষেরা উত্তর খুঁতে পেতে শুরু করলো। একসময় চূড়ান্ত ও সঠিক উত্তরে পৌঁছালো মানুষ।তারপর থেকে আজ অবধি থেকে নেই। অভ্যন্তরিন পৃথিবী ছাড়িয়ে মহাবিশ্বের অপার রহস্য সন্ধানে ব্যস্ত আজকের বিজ্ঞানীরা। মানুষের চিন্তার বাস্তবতা আজকে অসীম বিরাজমান।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে জ্ঞান-বিজ্ঞান কেন্দ্রিক নান বিষয়ে অজানা উত্তরের প্রশ্ন মনের মাঝে উঁকি দেয় । এর কোনোটার উত্তর হয়তো আমরা জানি বা খুঁজে পাই, আবার কোনোটার জানি না, আবার খুঁজেও পাই না। এসব অজানা বিষয়ে আমাদের কৌতূহল আর আগ্রহ থেকে যায় বারবারই। মানবমস্তিষ্ক উৎসুক হয়ে থাকে এগুলোর উত্তর জানার অভিপ্রায়ে। এটাই মানবচরিত্রের একটি বিশেষ গুন। সৃষ্টির অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রে এটা দেখা যায় না।
এ কথা সত্য যে একমাত্র মানুষই যে কোনো অপার রহস্য ভেদ করতে চায়। তাই নিজেকে প্রশ্ন করে আর উত্তর খুঁজে ফেরে। দৈনন্দিন জীবনের এমনই অসংখ্য বিষয় নিয়ে এ গ্রন্থটি রচনা করা হলো। আগ্রহী ও কৌতূহলী পাঠককূল এ থেকে তাদের জ্ঞানের পিপাসা মেটাতে সক্ষম হবেন এ আশা করি। গ্রন্থকার ঢাকা