ফ্ল্যাপে লিখা কথা বেঁচে খাকার আশা মানুষের চিরন্তন। এই ধরনীর মায়া ত্যায় করে যেতে চায় না কেউ। এক মুহূর্ত বেশি বাঁচার জন্য মানুষের চেষ্টার অন্ত নেই। কি হত যদি মানুষ মারা না যেত? তাদর জীবন কি এমনি স্বাভাবিক থাকত, নাকি সেখানে যোগ হত নতুন কোন মাত্রা, নাকি মানুষ বেঁচে থাকতে থাকতে একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ত? বিতৃষ্ণা ভর করত কি সেই একঘেয়ে জবিনটার প্রতি? এসব প্রশ্নের ব্যাখ্যা একেক জনের কাছে হয়ত একেক রকম। আমার এই গল্পটা গড়ে উঠেছে এমনি কিছু প্রশ্নের ব্যাখ্যা খুঁজতে যার মাঝে দেখানো হয়েছে তরুণ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার খালিদ একটা শক্তিশালী মানব ধ্বংসকারী ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে গিয়ে আবিষ্কার করে ফেলল এমন এক ফর্মূলা যার কল্যাণে মানুষ থাকবে সকল প্রকার রোগের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। মানুষ হয়ে যাবে অমর। ব্যাপারটা খুব গোপন ভাবে সংগঠিত হলেও কোন এক সময় ব্যাপারটা গোপন থাকে না, শুরু হয় সমলের মাঝে। যে কোন উপায়ে এই ঔষুধটি পাবার বাসনা। যে কোন উপায়ে এই ঔষুধ পেতে প্রস্তুত দেশের মন্ত্রী থেকে শুরু করে মাফিয়া গ্যাঙের লিডার। এই নিয়ে শুরু হলো এমন এক কুরুক্ষেত্র যারা সূচনা মানুষের অনন্তকাল বেঁচে থাকার আশা থেকে। এ যেন বেঁচে থাকার জন্য প্রাণ বিসর্জন। সবকিছু ছাপিয়ে এখানে বড় হয়ে দেখা দিলো প্রোজেক্ট ইমমর্টালিটির মর্টাল রূপ।