ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা সাগরের সাথে বাবলীর এনগেজমেন্ট হয়ে গেছে। পুরনো বাড়ীতে বিয়ে হোক সেটা পছন্দ নয় বাবলীর বিত্তশালী বাবা রজব আলীর। যাত্রাবাড়ীর পুরনো বাসা ছেড়ে বাবলীরা চলে আসে রামপুরার নতুন ডুপ্লেক্স বাড়ীতে। কিন্তু কী হয়েছে এ পাড়ার সব মানুষের? বাবলীকে সবাই ‘চাঁদের কনা’ বলে ডাকছে কেন? কেন তারা বাউলের নাম চলছে বারবার? কেন এই বাউল? কে-ই বা এই ‘চাদের কনা’? দিশেহারা হয়ে যায় বাবলী। বাবলীর কৌতুহলী মন খুঁজে ফেরে বাউলকে। ঔপন্যাসিক তাঁর প্রথম উপন্যাসের পরতে পরতে খুঁজে ফেরেন মানব জীবনের নানা আখ্যান। সেই আখ্যানের ভেতর ভালোবাসা যেমন আছে, তেমনি আছে প্রভাবশালী মহলের স্বার্থপরতার নির্মম চিত্র, আছে নানান সংকট ও সম্ভাবনা। কাহিনি এগিয়ে যায় প্রতিটি চরিত্রের অর্ন্তজটিলতাকে কেন্দ্র করে। সমসাময়িক পটভূমিতে নির্মিন এই উপন্যাসের প্রতিটি বাঁকে স্বত:স্ফুর্ত সংলাপ বয়ান ও চরিত্রগুলোর দ্বন্দ্বমূখর অবস্থান কী খোঁজ তুমি ঘাসের বনে উপন্যাসটিকে নিয়ে যায় ভিন্ন এক মাত্রায়। ভূমিকা কয়েক বছর আগের ঘটনা, বাবলী নামের এক অত্যন্ত রূপসী মেয়ে ভালবাসত এক বেকার যুবককে। একদিন প্রবাসী এক ছেলে এসে বাবলীর পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। বাবলী তার বেকার প্রেমিককে চিঠি লেখে, ‘এখন সে কী করবে? বাসা ছেড়ে চলে আসতে বললে তাও আসবে।’ যুবক চিঠি পেয়ে স্তম্ভিত! বেকার জীবনে বিয়ে? সে উদ্ভ্রান্তের মত ঘুরে বেড়ায়। বাবলীর সাথে প্রবাসীর বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পর যুবকের সাথে দেখা হলে বাবলী জিজ্ঞেস করে, যুবক কেন তার চিঠির উত্তর দেয় নি? যুবক অবলীলায় মিথ্যে বলে, সে চিঠি পায় নি! তারপর যুবক ভিড়ের মাঝে লুকিয়ে যায়। সেই যুবকের ব্যর্থতা, কাপুরুষতা, কষ্ট, বেদনা আমাকে বহু দিন তাড়িয়ে বেড়ায়। কী খোঁজ তুমি ঘাসের বনে সেই সব প্রেমিক প্রেমিকাদের কাহিনী, যারা বিশ্বাস করে, এক দিন তার প্রিয় মানুষটা তার হবে। রাজু সিদ্দিক