ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়ে ছেলেটি। আজ তার গোধূলির সাথে দেখা হবে। উত্তেজনায় রুটি ভেবে পত্রিকার পাতাই চিবোতে থাকে সে। বাবার হাত থেকে পালিয়ে উঠে পড়ে রিক্সায়। পথে বাধা পায় ট্রাফিক পুলিশের হাতে। দেখা হয় বিরক্তিকর বন্ধু শিমুলের সাথে। পড়িমরি করেও শেষ পর্যন্ত পার্কে পৌছায় সে। সত্যিই কি দেখা হলো ফেসবুক বন্ধু গোধূলির সাথে? নাকি….? খেলারামের চার খেলা গল্প সংকলনটি এমনই কিছু রম্যগল্প দিয়ে সাজিয়েছেন রম্যলেখক রাজু সিদ্দিক। আমাদের চারপাশের ঘটে যাওয়া অসংখ্য ঘটনা থেকে তিনি রসসমৃদ্ধ সেইসব ঘটনাকে নির্বাচিত এই গল্পগুলোতে যেমন রস আছে তেমনই সূক্ষ্ম মানবিক কষ্টও মিশে আছে। ফলে পাঠকও গল্পগুলোর সঙ্গে অনায়সে একাত্মা হতে পারেন। দশটি রম্যগল্প স্থান পেয়েছে খেলারামের চার খেলা গ্রন্থটিতে। গল্পগুলো ইতিপূর্বে রহস্যপত্রিকার পাতায় প্রকাশিত হয়ে জয় করে নিয়েছে রম্যপ্রিয় পাঠকের মন। ভূমিকা বরাবরই সে শান্তশিষ্ট। সবাই ভাবে সে খুব ভাল, দুষ্টমি করার মত ছেলে সে না। কিন্তু তার মাথায়ও আরও অনেকের মত দুষ্টমি আসে। ইচ্ছে করে দুষ্টমি করতে। পাছে কে কী বলে, তাই আর করা হয় না। কিন্তু ভাবনার সেই দুষ্টমিগুলো তার মাথায় ঘুরে বেড়ায়। দিনের পর দিন সেগুলো ঘষামাজা করে আরও শানিত করে, কখনও আশপাশের ঘটে যাওয়া ঘটনার ছোঁয়া দেয়। বাস্তবে সে হয়তো শান্তশিষ্ট কিন্তু ভাবনায় সে দুষ্টুর সেরা। তবে ওর মনটা অনেক ভাল, তাই সব মেয়েকেই ওর ভাল লাগে। ভাবনার সেই সব দুষ্টমি ও ভাল লাগার উপাখ্যানই আমার রম্যগল্প। রাজু সিদ্দিক সূচিপত্র চ্যাটফ্রেন্ড পাওয়ার রিং যোগ্যতমের উদ্বর্তন কাকতত্ত্ব পরিণতি খেলারামের চার খেলা কলা সয়েলিজম প্রলয় বাণিজ্য দিন না রাত্রি