ইন্টারমিডিয়েট একটি কলেজের লেকচারার কৃত্তিব্যাস । একজন শিক্ষক নিজেকে বন্ধুর মত দাবী করলে,বন্ধু শিক্ষকের দায়িত্ব কতর্ব্য যে শুধু মাত্র শিক্ষার্থীদের পরিক্ষায় পাশ করাতেই সীমাবদ্ধ নয়;বরং আরো অনেক কিছুই । সে ব্যাপারটাই যথাযথভাবে প্রমাণ করেছিলেন কৃত্তিব্যাস । আর কৃত্তিব্যাসের ছিল অসাধারন ব্যক্তিত্ব্য । যে ব্যক্তিত্ব্যের প্রেমে পড়েছিল,তার ছাত্রী প্রতীক্ষা । মেধাবী,প্রতিভাবান প্রতীক্ষার প্রেম ছিল ব্যাতিক্রমধর্মি । যার প্রেম হয়তো পৃথিবীতে দুর্লভ । সত্যিকারের ভালবাসায় কৃত্তিব্যাসের নিকট প্রেমের শ্রেষ্টত্ব নিবেদনের আশা রাখলেও বলার সাহস হয়নি দু বছর ধরে । প্রতীক্ষার বন্ধুরা মিলে অবশেষে একদিন কৃত্তিব্যাসকে জানায়,হৃদয়ের গহীন হতে নিবেদিত গভীর প্রণয়ের কথা । কিন্তু প্রতীক্ষার প্রথম প্রেমকে প্রত্যাখান করেন কৃত্তিব্যাস । প্রতীক্ষার মত কৃত্তিব্যাসের ও সত্যিকারের বন্ধুত্ব ছিল । অতীত জীবনের যে কালো অধ্যায় কৃত্তিব্যাসকে শপথ মর্যাদায় আসীন করে এবং ভালবাসার সম্পর্কে বাঁধতে দ্বিধাগ্রস্থ্য করে,সব খুলে বলেন তিনি প্রতীক্ষা এবং তার বন্ধুদের । তারপর সিদ্ধান্তে উপণিত হোন,প্রতীক্ষাকে নিয়ে ভালবাসার একটা পৃথিবী গড়ার । মাঝখানে বিঘ্নতা সৃষ্টি হয়,জাতভেদ প্রথা সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে । শাস্ত্র অনুসার যুক্তির ভিত্তিতে,সামাজিক বিয়েই হয় কৃত্তিব্যাস এবং প্রতীক্ষার । এর মাঝেও একটা ভুল থেকে যায় । যে ক্রটি ভাগ্য পরিক্রমায়,কৃত্তিব্যাসকে মৃত্যু মুখে ঠেলে দেয় ফুলশয্যা রাতেই ! তারপর.......???