ফ্ল্যাপে লিখা কথা মলি কিনা ভালোবাসে আমার মতো এমন একটি ভবঘুরেকে! সে অপরূপা, অনন্যা। কতজন তাঁকে প্রার্থনা করে জীবন কাটাবে। তাঁর জন্য ট্রয়ের যু্ধ না হোক, ঢাকা শহরের দু-একটা গলিতে দাঙ্গা লাগা অস্বাভাবিক নয়।
অথচ আমার হাতে পড়ে আজ দুঃসম্পর্কের খালা, কাল লতাপাতার মামার বাসার আশ্রিত থাকতে হচ্ছে। তবু ভালোবাসা অটুট আছে। সে আমাকেই চাইছে। আমাকেই তাঁর লাগবে। ভালোবাসার এমনই শক্তি।
আনিস মেয়েটাকে দেখছিল। এই সেই মেয়ে। এর সঙ্গে জমবে ভালো। সবসময়। সবকালে। জীবনভর।
তাঁর চোখে নেশা। মুখে মায়া। অনন্তে হারিয়ে যাওয়ার আমন্ত্রণ যেন।
এমন কেন হচ্ছে আনিসের! নিজের মধ্যে পরিষ্কার ভাঙ্গনের গান। জীবনে এই প্রথমবারে মতো ওর কথা বলতে ভুল হয়। সব কেমন যেন এলোমেলো লাগে।
আপনি নাকি বলেছেন আমাকে নিগম্বর করে ঘুরাবেন? বলেছি নাকি? ওটা তো অফ দ্য রেকর্ড কথা ছিল। কোট করা ঠিক হয়নি। আমি বাবা ব্যবসায়ী মানুষ, পরিস্থিতির দাবী অনুযায়ী কথা বলতে হয়। ওখানে হয়ত এরকম কথা বলার পরিস্থিতি ছিল, তাই বলেছি। তুমি কিছু মনে করো না।
যাই হোক আমি এসেছি একটা ছোট্ট অনুরোধ নিয়ে। বলো। বালো। কী উপকার করতে পারি তোমার? আপনি আমাকে এখানে দিগম্বর করবেন। তিনি চমকে গিয়ে বলেন, নাউজুবিল্লাহ। কী বলছ এসব? আমি তাঁকে পাত্তা না দিয়ে শার্টের বোতাম খোরা শুরু করি .........। সূচিপত্র *মলি তোমার জন্য *রিমি আজ চলে যাবে *দ্বিতীয় প্রিয় মানুষ
Mustafa Mamun বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয় ছিল আইন। কিন্তু আইনজীবী আর হওয়া হয়নি। এমন আরো অনেক না হওয়ার ভিড় পেরিয়ে যতসামান্য যা হয়েছে তার পুরোটাই লেখালেখিকেন্দ্রিক। লেখক এবং সাংবাদিক, আপাতত এটাই নামের পাশের পরিচয় । জন্ম মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়। তারপর সিলেট ক্যাডেট কলেজের রোমাঞ্চকর জীবন। সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সম্মান প্রথম বর্ষ থেকেই ক্রীড়া সাংবাদিকতা নামের দারুণ আনন্দময় এক পেশায় জড়িয়ে পড়া। খেলা দেখতে আর লিখতে ভ্ৰমণ করা হয়ে গেছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা, দেশ। বন্ধু-আডডা-মানুষ এসব নিয়ে মেতে থাকতে ভালো লাগে। বই পড়া, খেলা দেখাও আছে পছন্দের তালিকায়। কিন্তু সব ছাপিয়ে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে পছন্দের কাজ লেখা। এই নিয়ে চলছে জীবন। ভালোই তো চলছে!