ফ্ল্যাপে লিখা কথা বাংলা কথা সহিত্যের এক কিংবদন্তির জাদুকরের নাম হুমায়ূন আহমেদ। হেমিলনে বাঁশিওয়ালার মত এক আজব বাঁশি ফুকিয়ে যিনি কথা সাহিত্যে রস ও রহস্যের প্রতীক রূপে দুটি অমর চরিত্র হিমু ও মিসির আলীর জন্ম দিয়েছেন। তাঁর রহস্যের রহস্যালোকে প্রবেশের কৌতূহল পাঠক মনে গভীর প্রত্যাশা। শুধু জনপ্রিয়তা ও লেখনির মাপকাঠিতে নয় বরং সর্ব দিক থেকে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় হুমায়ূন আহমেদ বাংলা ভাষাভাষি সংখ্যগরিষ্ঠ মানুষের হৃদয়কে আন্দোলিত করেছেন তাঁর রহস্যময় সৃষ্টি হিমু চরিত্র ও মিসির আলীর দ্বারা। শুধু তাই নয় বাংলা চলচ্চিত্র ও টিভি নাটকওে ছিল তাঁর আকাশচম্বি জনপ্রিয়তা। তার ব্যক্তিগত জীবন ছিল রহস্যময়তায় ঘেরা। তাই একজন হুমায়ুন আহমেদের তুলানা তিনি নিজেই। প্রায়ই সকল বোদ্ধা পাঠক ও সমালোচকদের মতে তিনি নিজেই হিমু ও মিসির আলীর প্রতিমূর্তি। বাংলা কথা সাহিত্যেই শুধু নয় তিনি তার সৃষ্টিশীলতা, জনপ্রিয়তা ও রহস্যময়তায় বিশ্বের এক প্রতিভাস রয়েছে নুহাশ পল্লীর প্রতিটি ধূলিকনার মাঝে। যা হাতছানি দিয়ে পথিকের অন্তর মানসে সুর ও ছন্দের দোলায় মুখরিত করছে সর্বদাই । সারি সারি সবুজ বৃক্ষ ও হ্রদের উপরিভাগে মৃত্তিকার তৈরি ভাস্কার্যগুলো যেন পতিকের মনের কৌতূহলকে বাড়িয়ে তুলছে। হযমায়ূন আহমেদ এখনও চির জীবন্ত হয়ে আছেন আমাদের সবার মাঝে। তিনি আজীবন থাকবেন ভক্ত পাঠকরে হৃদয়ের মহারাজা হয়ে । একজন কিংবদন্তী, প্রখ্যাত ও অসম্ভব জনপ্রিয় লেখকের স্মৃতিচারণ ও উজ্জ্বল জীবনের প্রতিভাসমূলক সংকলনধর্মী গ্রন্থের মাধ্যমে তাকে মূল্যায়ন করতে পেলে আমি নিজেকে গর্ববোধ করছি। এই গ্রন্থের মধ্যে হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে বাংলার সকল বুদ্ধিজীবী মহল, লেখক, কলামিস্ট, গবেষক ও সাংবাদিকবৃন্দ তাদের লেখনির মাধ্যমে সার্থক ও যথাযথ মূল্যায়ন করতে পেরেছেন বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। হিমু রহসের জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ নামের এই গ্রন্থ সকল পাঠকভক্তের কৌতূহল নিবারণে সক্ষম হলে তবেই আমার শ্রম সার্থক মনে করব। -মোস্তাক আহ্মাদ
সূচিপত্র * চোখ * হিমু রহস্যের জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ * যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ ব্যতিক্রমি শিল্পশস্য * হুমায়ূনের অসমাপ্ত উপন্যাস দেয়াল ইতিহাসের সত্য ও শিল্পের সীমা * বাবার কাছে লেখা নুহাশের শেষ চিঠি * হুমায়ূনের সাহিত্য তার জনপ্রিয়তা * প্রশ্নহীন লেখক হুমায়ূন আহমেদ * আমাদের গল্পের বাঁশিওয়ালা * হুমায়ূন আহমেদ : শূন্যতায় শিক্ষা * হুমায়ূন আহমেদ প্রসঙ্গে * আমায় ছিলাম সঙ্কট পেরিয়ে যাবে, হুমায়ূন ফিরে আসবে * হুমায়ূন আমাদের পাঠনো জোকসের বই থেকে * অসামান্য হুমায়ূন আহমেদর * আর কটা দিন থেকে গেলেই পারতে! * বিদায় হুমায়ূন ! যেভাবে শুরু * কিছুই যাবে না ভোলা! * তিনি আমার ওস্তাদ * তাঁর কারণেই আমি গায়ক * পরশপাথর * মধুর স্মৃতি * তিনি এমনই * তাঁর প্রথম মঞ্চনাটক * বহুব্রীহির চশমা * কফিনে লাশ * ‘মৃত্যু নিয়ে আমার কোন ফসোস নেই’ * হুমায়ূনের কথা * তিনি কতো দিন বেঁচে থাকবেন? * তার তুলনা তিনি নিজেই, অন্য কেউ নয়, অন্য কিছু নয় * স্বরাট সার্বভৌম হুমায়ূন আহমেদ * একজন কিংবদন্তীর প্রয়াণ * ভুলিব না, কভু ভুলিব না * শেষ দিনগুলি * কোথায় লুকিয়েছিল জ্যোৎস্নার চাঁদ * দূরে কোথায় দূরে, দূরে * অভিমানী গুলতেকিনের সঙ্গে আর দেখাই হল না * আমরা কি হারালাম * হুমায়ূন আহমেদ ও বাংলাদেশ * ‘অচিন দেশে, অচিন কোনো গায়’ * যখন পড়বে না তাঁর পায়ের চিহৃ * আমাদের হুমায়ূন আহমেদ * পশ্চিমবঙ্গের কাগজে আমি মরলেও খবর হবে না * আমাদের কোয়ান্টাম মেকানিক্স স্যার * জোছনাবিলাসী লেখকের প্রস্থান * হুমায়ূন আহমেদ এবং হিমু * মৃত্যুতে হয় না শেষ প্রখর জীবন * হুমায়ূনের যুদ্ধে একটি ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া * হুমায়ূন ভাইয়ের সঙ্গে * হৃদয়জোড়া হাহাকার * চান্নি পসর রাইতের মানুষ ও দেশ গড়ার যুদ্ধ * শেষ দেখা
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।