ফ্ল্যাপে লিখা কথা জীবন মানেই কোনো না কোনভাবে প্রতীক্ষা বা অপেক্ষা। প্রতি মুহূর্তেই আমরা কিছু না কিছুর জন্য অপেক্ষা করি।জীবনের ফাঁকাফোকরে নীরবে বা সরবে ঘটে যায় কত শত ঘটনা। প্রতিটি ঘটনাই তো কোনো কোনোভাবেই একটি গল্প। সেসব গল্পের আড়ালেও হয়তো থাকে ভিন্ন কোনো গল্প। আর সব গল্পেই অপেক্ষার একটা ব্যাপার থাকে-স্বপ্ন ও সুন্দরের , আশা ও সম্ভাবনার। ‘প্রেম ও প্রতীক্ষার গল্প’ -এর প্রতিটি গল্প কিংবা প্রতিটি গল্পের চরিত্রই যেন খুব চেনা এবং অচেনা এই শহরের ,আমি , আমরা এবং আমাদের। বিপন্ন সময় ,দোষ-গুন, রক্ত-মাংস, আবেগ-অনুভূতি , ঘৃণা-ভালোবাসা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, প্রত্যাশ-হতাশা, ক্ষয়-ক্লান্তি, স্মৃতি-বিস্মৃতি, বিরহ-মিলন, সুখ-অসুখ, স্বপ্ন-দু:স্বপ্নের চিরাচরিত জীবনযাপন পদ্ধতিরই অংশ। হিসেব মেলা না মেলা জীবনের তীব্র হাহাকার আর চরম উচ্ছ্বাসের প্রকাশ। এই সব ঘটনা ,গল্পগুলি যেন চিরচেনা , চির অচেনা আমাদের জীবনেরিই অনিবার্য অংশ। যা আমাদের দৈন্যন্দিন জীবনযাপনে কখনো কখনো প্রভাবিত করে, ক্লান্ত করে, উদ্বেলিত করে । প্রতিটি চরিত্রই যেন নিয়তি প্রদত্ত কোনো না কোনো ফাঁদে পতিত হয়। যেমন প্রতিনিয়ত আমরা হই,হচ্ছি বা হবো। একই সাথে বিচ্যুতি ও ফেরার গল্প, অপেক্ষা ও সুন্দরের গল্প। সাতটি গল্প যেন সাত রকমের অপেক্ষা ও জীবনের সন্ধান দেয়, এক গল্প বহু গল্পের সম্ভবনা মিলে। পাঠক নিশ্চিতভাবে কোনো না কোনো গল্প ,কোনো না কোনো চরিত্রে আবিষ্কার করবে।
ভূমিকা এবার লেখালেখিটা ঠিক গন্তব্যে ফেরার মতো একটা ব্যাপার হল। কিছু অভিমান, আর ক্যারিয়ার। প্রতিষ্ঠার পেছনে ছুটে অনেকগুলো বছর চলে গেল, কিছুই লেখা হয়নি। একটা সময় এসে মনে হল শুধুই অপচয় আর নিজের প্রতি অবিচার। কলম হাতে নিলাম। প্ল্যান প্রোগ্রাম করি লেখা আর হয় না। গুগুলের সাহায্য নিতেই ২৫ কোটি পেজ এস হাজির। মহাবিরক্তি আর অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে ঘুরে বেড়াই। অপচয়েও কিছু প্রাপ্তি মেলে। হঠাৎ মনে হলো আমার এতো দিনের অভিজ্ঞতা, চেনাজানা লোকজন , কতশত ঘটনার ভিড়েই তো রয়েছে গল্পকে হার মানানো কত গল্প। অযথা আর গল্পের সন্ধান কেন! তাই এ গ্রন্থের কোন চরিত্র, ঘটনা কাল্পনিক না। এ গল্পগ্রন্থের কোন না কোন গল্প আপনার, আমার , আমাদের। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা কাছের মানুষ, শুভাকাঙ্ক্ষিত, সবাইকে-যাদের উৎসাহ,পিছু লেগে থাকা ছাড়া আবার লেখালেখিতে ফেরাটা হয়ত সম্ভব হত না। শুভেচ্ছা ও অভিবাদন, প্রিয় পাঠক; সবাইকে। মইনুল ইসলাম নয়ন