ফ্ল্যাপে লিখা কথা হঠাৎ এক দূর্ঘটনায় শুভ’র জীবনটা এলোমেলো হয়ে যায়। তেমনি স্বপ্নহীন, আলোহীন , বড় আটপৌরে নিরানান্দ জীবনে হঠাৎ করে নাহিদের সাথে পরিচয় হয়। এই মানুষটির মাধে তার স্বপ্নপুরুষের সন্ধান পায়। পিছুটান আর দুঃসহ স্মৃতি পেছনে ফেলে তাঁর জীবন আবারো উৎসবমুখর, আলোয় আলোয় ভরে ওঠে। কী যে এক মুগ্ধতা , কী যে এক অসীম ভালো লাগায় সবটুকু সঁপে দেয়, ধ্যান- জ্ঞান করে তাকে। তার অকুণ্ঠ ত্যাগ আর নিরন্তর সহযোগিতা, সমর্পণে নাহিদের জীবনওে প্রভাব ফেলে, জীবন অনেক সহজ হয়ে যায়। শুভর প্রতিও তার কৃতজ্ঞতা ম ভালো লাগার কমতি নেই । কিন্তু সব বুঝেও ভালোবাসার কোনো সম্পর্ক তৈরি হয় ডনা। তার চারপাশ , সমাজ , সংসার, পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধব, সর্বোপরি তার মনের সংকীর্ণতা দেয়াল হয়ে দাঁড়ায়। এদিকে চরম এক সন্দিক্ষণে এসে শুভ নাহিদকে ভীষণভাবে প্রার্থনা করে। কিন্তু না, নাহিদ তাকে ফিরিয়ে দেয়। ভীষণ এক অভিমানে শুভ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। একসময় নাহিদ বুঝতে পারে। কিন্তু ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গেছে। তবু তার সবকিছু দিয়ে নিবেদন করে শুভকে ফেরানোর অনুনিয়, প্রার্থনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শুভ কি ফিরে? দুজন মানব-মানবীর মনোজগতের রহস্য, দ্বন্দ্ব-সংঘাত, অপরিসীম আবেগ উচ্ছ্বাস আর সমাজ সংসারের বাধা-বেড়াজালকে উপজীব্য করে এক অসাধারণ নিখুঁত প্রেমের উপন্যাস ‘ফিরে এসো অভিমানী’।