ফ্ল্যাপে লিখা কথা পার্থ গভীর ভালোবাসায় হাত রাখে আমার হাতে- নিজেকে ভুলে যেতে ইচ্ছে করে আমার। ইচ্ছে করে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিই আমার অন্ধকারময় কুৎসিত শৈশবটাকে। আমার নামে রেখে যাওয়া ভাইয়ার চিঠির ভার বইতে বইতে ক্লান্ত হয়ে যাই যখন, তখন খুব ইচ্ছে করে বৃষ্টিতে ভিজি- বৃষ্টির জলে ধুয়ে নিই সমস্ত যন্ত্রণা, সব ক্লেদ।
মাঝ রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমার কোলে মাথা রেখে শোয় ছোট বোন তূর্ণা। ঠিক সেই মূহূর্তে মনে হয়- সময়টা যদি এখঅনেই থেমে যেত! আমাদের যাবতীয় দুঃখ-ক্রোধ, আমাদের সকল না পাওয়া, সকল অভিমান, বুকের ভেতর থেকে উঠে আসা সকল ভয় আর গ্লানিগুলোকে দূরে ঠেলে দিয়ে যদি এই অদ্ভুত রাতটা স্থির হয়ে যেত এখানেই! কোনোদিন ভোর না হতো আর! বেশ হতো তাহলে। বীভৎস আর নোংরা পৃথিবীটাকে ঝকঝকে সূর্যের আলোয় বেহায়ার মতো হাসতে দেখতে হতো না আর। প্রতিনিয়ত ছোট হতে হতে মাটির সাথে নিজের অস্তিত্বকে বিলীন হয়ে যেতে দেখতে হতো না আর কোনোদিন।
পার্থকে স্থলনের হাত থেকে বাঁচাতে আমি হয়ে যাই ওর ক্যানভাসের নারী- ও আমাকে সাজায়, আমাকে রাঙায় আনন্দ আর উচ্ছ্বলতার রঙে। অপেক্ষায় থাকি আমি- পার্থ’র অখন্ড অবসরে ওর হাতে তুলে দেবো আমার দুঃস্বপ্নের রাত, বিভিষীকাময় কালো রঙ মুছে দিয়ে আমার আকাশ রাঙিয়ে দেবে ও ভালোবাসার নীল রঙে। দেবে তো?