ফ্ল্যাপে লিখা কথা বিংশ শতাব্দীর সত্তর-আশি দশকের নানামুখী শুভ সূচনা ও সম্ভাবনার পাশাপাশি সার্থান্বেষী কুটিল এক সম্প্রদায় ছলে-বলে-কৌশলে ধনবিত্তের পাহাড় গড়ে তোলার প্রতিযোগিতায় নামে। বাবর-হামিদ সেই দলের প্রতিনিধি।
ধনসম্পদের উচ্চ শিখরে উঠে নিচের সিঁড়ি-সোপানে ফিরে তাকিয়ে বাবর দেখেন, অপরাধ জগতের হেন কাজ নেই যা তিনি করেননি। তাঁর জীবনে তখন সায়াহ্নের ছায়া। অন্যদিকে বাবরের সরলমতি স্ত্রী শান্তার কাকুতি ও সোহাগী ছোট মেয় বিলকিসের করুণ পরিণতি তাঁকে খানিকটা স্বাভাবিক মানসিকতার দিকে টেনে নিতে চাইলেও তিনি সেই সহজ পথে চলতে পারেননি। নিরীজ বাল্যবন্ধু নাসিরকে চরম ভোগান্তিতে ফেলে বাবর নির্মম ধূম্রজালের সৃষ্টি করেন।
হামিদের লালসা-চক্রান্তে কুন্তলার সকরুণ মৃত্যুর আঘাতে পাগল -প্রায় তকী দেশ ছেড়ে যায়। অন্যদিকে গায়ক মোবীন ও উর্মির আবেগী প্রেম স্বচ্ছন্দ গতিতে এগোয়। প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে বিরামহীন লিখে চলা কথাসাহিত্যিক রেজাউর রহমান সমাজের সংবেদনশীল এক চিত্র তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন তাঁর এই বলিষ্ঠ লেখার আঙ্গিক-বিস্তারে। এই বই পাঠককে দাঁড় করিয়ে দেবে রাষ্ট্রচিত্রের নানা অশুভ পাঁয়তারার মুখোমুখি।
Rezaur Rahman- জন্ম ১৯৪৪, ঢাকা। লেখালেখির শুরু স্কুলজীবন থেকে। প্রথম লেখা ছাপা হয় ১৯৬২-তে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি করেছেন ১৯৬৫ সালে। চেক বিজ্ঞান একাডেমি, গ্রাগ থেকে ১৯৭৯ সালে কীটতত্ত্বে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। সরকারি ডিগ্রি কলেজে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে পেশাগত জীবনের শুরু। বাংলাদেশের পরমাণু শক্তি কমিশনে বিজ্ঞান-গবেষক হিসেবে ১৯৬৬-২০০২ পর্যন্ত নিয়োজিত ছিলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন (১৯৯১-২০০৫)। বর্তমানে নিয়মিত সাহিত্যচর্চায় নিবেদিত। পাশাপাশি তিনি লিখেছেন স্নাতকোত্তর মানের পাঠ্যপুস্তকসহ ১৫টি জনপ্রিয় বিজ্ঞানগ্রন্থ। লিখেছেন শতাধিক বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধও।